ঢাকা: মিয়ানমারে ভূমিকম্প ও দুর্গত মানুষের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের মানবিক সহায়তা সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। জাহাজটি ৭৫.৫ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ, পানি, তাঁবু, জরুরি সামগ্রীসহ ১২০ মেট্রিক টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী বহন করে এনেছে।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ইয়াঙ্গুনের এমআইটিটি জেটিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ইউ সো থেইনের কাছে এই ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন যে একটি দায়িত্বশীল প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অসামান্য দক্ষতা থাকায় বাংলাদেশ কোনো বিলম্ব ছাড়াই ভূমিকম্পের পরে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি ভূমিকম্পে আক্রান্ত মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা, বিশেষ করে গত ১-১০ এপ্রিল পর্যন্ত নেপিত’তে পরিচালিত উদ্ধার, চিকিৎসা ও মানবিক সহযোগিতা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি নিকট অতীতে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশেষ করে ২০২৩ সালে সাইক্লোন ‘মোখা’-র সময়ে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তাসহ অন্যান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত একই সময়ে মিয়ানমারের রেড ক্রসের নির্বাহী কমিটির সদস্যের কাছে ৮০০ বক্স হাইজিন কিট হস্তান্তর করেন, যা একই জাহাজে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশের তরফ থেকে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় চালান। এর আগে প্রথম পর্যায়ে গত ৩০ মার্চ এবং ১ এপ্রিলে যথাক্রমে ১৬.৫ মেট্রিক টন ও ১৫ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রীর দুটি চালান পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর তিনটি বিমান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি বিমান সে সময়ে ত্রাণ সামগ্রী ও ৫৫ সদস্যের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল নিয়ে ইয়াঙ্গুন এবং নেপিত’তে আসে।
ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তা, দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফতাব হোসেন, দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিক, জাহাজের ক্যাপ্টেন ও ক্রুরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
টিআর/আরবি