ঢাকা, রবিবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জুলাই বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ পুড়িয়েছে: ফারুকী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
জুলাই বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ পুড়িয়েছে: ফারুকী শনিবার সিলেটে সার্কিট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সিলেট: ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ যারা পুড়িয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দিয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সিলেটে সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেন, জুলাই বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দিয়েছে। যারা চায় না ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ থাকুক; এটি তাদের কাজ। ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ করছে, দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

দুষ্কৃতকারীদের সতর্ক করে এ উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরকার তার স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে। জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। সবার ঐক্য দিয়ে এসব অপকর্মের প্রতিবাদ হবে মুখ্য জবাব।   

গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরছেন জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, এবার সকল ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সবার সমন্বয়ে বিশাল আয়োজন হচ্ছে শুধুমাত্র বৈশাখকে কেন্দ্র করে, যা দেশকে নতুনভাবে চিনবে মানুষ।  

চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ও বৈশাখে আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ফারুকী বলেন, কোনো শঙ্কা বা সংশয় নয় বরং উৎসবমুখর পরিবেশে সকল আয়োজন সম্পন্নের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আমরা সবাই এক হয়ে উৎসব পালন করতে চেয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরদের ভালো লাগেনি। তারা আমাদের ঐক্যে বাধা দিতে চায়, তাই আমরা সবাই এক হয়ে উৎসব পালন করব।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রমুখ।

এর আগে শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, গতকাল রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেল বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না। আমরা এখন আরও বেশি ডিটারমাইনড এবং আরো বেশি সংখ্যায় অংশ নেব।  

‘গত কিছুদিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ওই বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু গতকালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরো অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠলো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এনইউ/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।