মাদারীপুর: বর্ষবরণ ঘিরে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই বাঙালির মনে। দিন শেষে বিনোদনের জন্য অনেকেই ছুটে আসছেন পদ্মার পাড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাট এলাকার নদী শাসন বাঁধ থেকে শুরু করে পদ্মাসেতুর নিচ পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার বিভিন্ন স্থানে দর্শনার্থীদের ভিড়। নদী শাসন বাঁধে বসে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন অনেকে। কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চটপটি-ফুচকা, চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন স্ট্রিট ফুডের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে।
পদ্মার পাড়ে ঘুরতে আসা রোকসনা আক্তার বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে শিবচর থেকে ঘুরতে এসেছি। সন্ধ্যার পর নদীর পাড়ে বেশ ভালো লাগে। হালকা বাতাস বইছে।
চাকরিজীবী মো. আরাফাত হোসেন বলেন, পদ্মাসেতুর নদী শাসন বাঁধসহ পদ্মার পাড় দর্শনার্থীদের টানে। পহেলা বৈশাখে বিকেলে পদ্মার পাড়ে এসেছিলাম। সন্ধ্যার পর পদ্মার পাড়ের পরিবেশ বেশ ভালো লাগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মাসেতু হওয়ার পরে নদী শাসন বাঁধ এলাকা হয়ে উঠেছে পর্যটনের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। ঈদ মৌসুমে এই পদ্মার পাড় হয়ে উঠে দর্শনার্থীদের ভিড়ে লোকারণ্য। এ ছাড়া প্রতিদিনই পদ্মা নদীর কাওড়াকান্দি, কাঁঠালবাড়ী ঘাট, জাজিরা পয়েন্ট এলাকায় সাধারণ মানুষের বিচরণ থাকে। বিকেল থেকে রাত ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর থাকে এই এলাকা। বিশেষ করে নদীর স্নিগ্ধ বাতাস মুগ্ধ করে ভ্রমণপ্রেমীদের। আর মানুষের আগমন ঘিরে এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ অসংখ্য খাবারের দোকান। এতে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন এই এলাকার অনেকেই।
পহেলা বৈশাখ শুধু একটি দিন নয়, যেন বাঙালির হৃদয়ের গভীরে লুকানো এক অনন্ত উৎসব। নতুন সূর্য উঠে নতুন আশার হাত ধরে, পুরোনো ক্লান্তি, গ্লানি আর দুঃখকে পেছনে ফেলে। বৈশাখ মানে মিলন, বৈশাখ মানে প্রাণ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, ধনী থেকে গরিব— সবাই একসঙ্গে, এক আনন্দে, এক বর্ণে, এক উৎসবে মেতে উঠে। বৈশাখ ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসছে গ্রামীণ মেলা। দর্শনার্থীদের ভিড় বিভিন্ন স্থানে। নিরিবিলি ঘুরে বেড়ানো ও অবকাশ সময় কাটাতে পদ্মার পাড় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
আরবি