ঢাকা: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার নিয়োগের জন্য একটা বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা হবে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমও উপস্থিত ছিলেন।
নূরজাহান বেগমকে প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি আপনি একটা নির্দেশ দিয়েছেন অফিসে মিটিং করলে কোনো সম্মানী দেওয়া যাবে না, এটা সকল মন্ত্রণালয়ে কবে থেকে চালু হবে? জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় সম্মানী দিতে চান, দিতে পারেন, সেটা তাদের বিষয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে যেটা দেখলাম সাধারণত কোনো বোর্ড মিটিং হলে সেখানে বোর্ড মেম্বাররা আসেন। তাদের একটা সম্মানী দেওয়া হয়। বাইরে থেকে যারা আসবেন তারা এটা পাবেন। আর অন্যান্য মিটিংয়ে দুপুরে মিটিং হলে খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো সম্মানী দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, এখানে নার্সদের যে একটা পরীক্ষা হয়, সেখানে নিয়ম অনুযায়ী হওয়া উচিত ছিল পরীক্ষার সঙ্গে জড়িতরা খাবেন এবং তাদের একটা সম্মানী দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখান থেকে তার একটা ভাগ চলে এলো আমার কাছে। আমি সে টাকাটা ফেরত দিলাম। এটাতো আমি নিতে পারি না, কারণ আমি পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত না। এ রকম বিভিন্ন মিটিংয়ে দেখা যায় একটা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে বিষয়টা কেবিনেটে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বলা হলো এটা আর জোর দেওয়া যাবে না। মন্ত্রণালয়গুলোর যার মনে চায় দেবে।
কবে থেকে এসব হাসপাতালে সেবা শুরু করতে পারবেন ও দুই হাজার ডাক্তার কবে থেকে নিয়োগ দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ডাক্তার নিয়োগের জন্য একটা বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা হবে। সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে এটা নেওয়া হবে। এছাড়া এসব রেলওয়ে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কবে থেকে চালু হবে সেটা স্থিরভাবে বলা যাবে না। তবে চলতি বা আগামী সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ টিম পরিদর্শনে যাবে। তারা দেখবে সেখানে কি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনবল লাগবে৷
কোন কোন জেলায় এই ১০ টি হাসপাতাল হচ্ছে?
জবাবে তিনি বলেন, ১০ টি রেলওয়ে হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল ঢাকা (৭৫ বেড), রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রাম (৯২ বেড), বক্ষব্যাধি হাসপাতাল চট্টগ্রাম সিআরপি, চট্টগ্রাম পোর্টইয়ার হাসপাতাল হালিশহর, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল রাজশাহী, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল পাকসী, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল সৈয়দপুর, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল লালমনির হাট, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল পারবর্তীপুর, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল শান্তাহার।
রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, হাসপাতালগুলোতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এখানে একটি কমিটি থাকবে তারা নির্ধারণ করবে। কবে থেকে সেবাটা চালু করতে পারবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে কিন্তু পরিবর্তন করতে পারবো না। এতো দিন রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সুবিধা পেয়ে আসছেন সেটা তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন। ধরেন ডাক্তার আছেন তিনজন বাইরে থেকে আরও ৫০ জন সেবাগ্রহীতা এলো তাহলে তো সেবা দিতে পারবে না। কাজেই এরমধ্যে বাইরের কারো সেখানে যাওয়াটা ঠিক হবে না।
আপাতত যেভাবে আছে সেভাবেই চলুক, আমাদের যখন নীতিমালা তৈরি হবে। কে কোন কাজটা করবে সেগুলো ঠিক হবে, পরিদর্শনে যাবে। এরপর আমরা ঘোষণা দেব যে এখন থেকে সকলের জন্য হাসপাতালের সেবা উন্মুক্ত। সকলেই এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
জিসিজি/এসআইএস