ঢাকা, বুধবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাণিজ্য খাতে নতুন সম্ভাবনা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
বাণিজ্য খাতে নতুন সম্ভাবনা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর

ঢাকা: সব সময়ই ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিগত শাসনামলে কখনোই দেশের উন্নয়নের কথা ভাবা হয়নি  বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বন্দরের একটি টার্মিনাল নির্মাণে জাপানি প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান এবং থোয়া করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ৪ বছরে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি এবং ৩০০ মিটার দীর্ঘ আরও একটি মাল্টিপারপাস জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। আর এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

দেশের সমুদ্রবাণিজ্যে উন্নয়ন করতে, সমুদ্র পথে অবৈধ পাচার রোধ, ডাকাতি ও দস্যুতা রোধে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা।

এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ বাণিজ্য খাতে উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করবে বলেও জানান তিনি।

সাড়ে ১৪ মিটার গভীরতার কৃত্রিম চ্যানেলের কারণে ৮ থেকে ৯ হাজার টিইইউএস ধারণ ক্ষমতার জাহাজও সহজেই নোঙর করতে পারবে মাতারবাড়িতে। এই বন্দর বাংলাদেশে চালু হলে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা কমবে। এ ছাড়াও এই বন্দর বাণিজ্যিক হাবে পরিণত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।

এ সময় এই বন্দরের ব্যয় আরও বাড়তে পারে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পের কাজে কোনোরকম দুর্নীতির প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কেউ যাতে নিজের স্বার্থ হাসিলে দেশের এসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি না করে, সে বিষয়েও মনিটরিং করা হবে। ২০৩০ সালের শুরু থেকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম চালু হবে।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি ২০২০ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুমোদন পায়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মূল কাজ শুরু হতে দেরি হয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটির ব্যয় সংশোধন করে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা নির্ধারণ করে। অনুমোদনের পাঁচ বছর পর দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মূল কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
পিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ