ঢাকা: রানা প্লাজার ধসের ঘটনার বিচারের কথা উল্লেখ করে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেছেন, রানা প্লাজার ধসের ঘটনায় শুধু রানার বিচার হলেই আমি খুশি। যারা কারখানার ও বিল্ডিংয়ের পারমিশন দিয়েছে, কারও কিছু দরকার নাই।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তন হলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল কর্তৃক রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্মৃতিচারণমূলক দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান উদ্দিন বলেন, আমরা একটা প্ল্যান করছি, সেখানে আইনি বিচারের দাবি থাকবে, রানা প্লাজার থেকে শিক্ষা নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া পরিবর্তন হওয়া দরকার, সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সাবমিট করতে হবে। আপনারা রিপোর্ট দিলে আইন সংশোধন হবে। রানা প্লাজাকে কেন্দ্র করে দেশে জাতীয় পর্যায়ে একটা নিরাপদ কর্মস্থল তৈরি করার জন্য যে সংশোধনী আছে সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সেগুলো সংশোধন করে আইন সংশোধন করব।
তিনি বলেন, একটি ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে আমরা এখানে একত্রিত হইনি। আমরা একত্রিত হয়েছি আমাদের দায়িত্ব চিন্তাভাবনাকে একত্রিত করার জন্য। ১২ বছর পরে চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ নেই, বিচার দাবি করা এখন আমাদের দায়িত্ব হয়ে গেছে। রানা প্লাজা ধস একটা ট্র্যাজেডি ছিল না, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
গোল টেবিল বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য রাশেদুল আলম রাজু। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতারের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন স্বপ্ন, নারীবিষয়ক সম্পাদক চায়না রহমান, অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও সদস্য আমিনুল হক আমিন।
দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এক ট্রাজেডি ছিল সাভারের রানা প্লাজা ধস। যেই ঘটনায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাড়া দিয়েছিল বিশ্বকেও।
সেই ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার হন বিদেশিরাও। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা, যাতে প্রাণ হারান এক হাজার ১৩৬ জন। এরপর পেরিয়ে গেছে এক যুগ। এ সময়েও শেষ হয়নি ঘটনার বিচার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
ইএসএস/এসআইএস