ঢাকা: শৃঙ্খলা ভঙ্গের ‘বানোয়াট ও সাজানো নাটকে’ ৩২১ চাকরিপ্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ব্যাচ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সদস্যরা। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পরিদর্শক পদে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অব্যাহতি পাওয়া দীপিকা চক্রবর্তী বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাদ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক ও বানোয়াট। এক বছর মেয়াদী ট্রেনিং শেষ করে যেখানে আমাদের দেশ ও জাতির সেবা করার কথা ছিল সেখানে চার ধাপে আমাদের বাতিল করা হয়েছে। মাঠে সময়মতো উপস্থিত না থাকা, জিমনেশিয়াম ক্লাসে অমনোযোগী থাকা ইত্যাদি অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে। যদিও সেখানে দায়িত্বরত সাবেক আইজিপি হাসিবুর রহমান চৌধুরী ক্লাসে হইচই করার কথা অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ২১ অক্টোবর ৪৮ জনকে শোকজ করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় একাডেমিক ভবনে ক্লাস থাকলেও মেমোরিয়ালে ক্লাস স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৪ অক্টোবর তাদের শোকজ প্রদান করে চাকরিতে যোগদানের একদিন আগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকা সত্ত্বেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন না করে এভাবে বাতিল করা অবৈধ।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ৩২১ জন এসআই আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সমাজে তার একেকজন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্র ও সমাজ তাদের আজ ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন না হয় মেরে ফেলুন। আজ আমরা অসহায়। আমরা অনেকেই সরকারি বেসরকারি চাকরি ছেড়ে একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের কোথাও চাকরিও দিচ্ছে না। আবার দীর্ঘদিন পড়াশোনা থেকেও দূরে আমরা। নারী ক্যাডেটরা একঘরে হয়ে আছে।
এফএইচ/আরআইএস