ঢাকা: জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত একমাত্র ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন যা দেশের নাগরিকদের জরুরি মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪/৭ সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত ’জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ সর্বমোট ছয় কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে ।
অপরদিকে তিন কোটি ৫১ লাখ এক হাজার ২১টি কলের সাথে সেবা প্রত্যাশার কোন সম্পর্ক নেই। এগুলো ব্ল্যাংক কল, প্র্যাংক কল এবং মিসড কল যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এই বিপুল সংখ্যক অপ্রয়োজনীয় ফোন-কল কল-ওয়েইটিং টাইম বাড়িয়ে দেয়, সত্যিকার বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থী কলারকে ৯৯৯-এর সেবাপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায় এবং ৯৯৯-এর কলগ্রহীতাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অপ্রয়োজনীয় কলগুলো ৯৯৯-এর দ্রুত সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত করছে।
উল্লেখ্য যে, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনেনি। বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক ব্যাপার হচ্ছে ৯৯৯-এর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসার কারণে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে দিন-দিন অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা কমে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সম্মানিত নাগরিকগণের এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। আসুন আপদে-বিপদে, আশা-নিরাশায়, আস্থা-ভরসায় জরুরি নম্বর ৯৯৯ ব্যবহারে নিজে সচেতন হই এবং অপরকে সচেতন করি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) অ্যাডিশনাল ডিআইজি মহিউল ইসলাম (পুলিশ টেলিকম) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
এজেডএস/এএটি