ঢাকা, শনিবার, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৩১ মে ২০২৫, ০৩ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরির অধ্যাদেশ বাতিল

দাবি আদায়ে ৫ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবে ফোরাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩০, মে ২৯, ২০২৫
দাবি আদায়ে ৫ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবে ফোরাম চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবি আদায়ে আগামী রোববার (১ জুন) তিনজন এবং সোমবার (২ জুন) দুইজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সদস্যরা। একই সঙ্গে আপাতত কর্মবিরতি আর পালন করবে না ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এ কর্মসূচির কথা জানান।

মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আলোচনা যাই হোক আমাদের একটা টাইম ফ্রেম থাকতে হবে। আমরা তো আজীবন অপেক্ষায় থাকবো না। ঈদের আগে আমাদের হাতে সময় আছে চার দিন। প্রধান উপদেষ্টার আগামী শনিবার দেশে আসার কথা শুনেছি। সেক্ষেত্রে রোববার আমাদের আশাব্যঞ্জক একটি খবর পাওয়ার কথা। তারপরও আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাইনি, সরে যাব না।

তিনি বলেন, অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলে এর পরে অভিন্ন নীতিমালা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সচিবরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদেরকে একটি ভালো ফলাফল দেবেন, আমরা সেই প্রত্যাশায় থাকবো।

নুরুল ইসলাম বলেন, চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামী রোববার উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সোমবার স্মারকলিপি দেওয়া হবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে।  

এছাড়া মাঠ পর্যায় থেকে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা প্রধানদের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সরকারি চাকরি (অধ্যাদেশ) ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। ওইদিন থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মচারীরা।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে প্রণয়ন করা হয়। অধ্যাদেশটিতে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান শিরোনামে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে আনুগত্য সৃষ্টি হয় বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি হয়, অথবা অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অন্য কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন, কিংবা কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন। আর এ নিয়েই ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।