ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি, স্বস্তি চায় কাজলাবাসী

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০০, মে ৩০, ২০২৫
বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি, স্বস্তি চায় কাজলাবাসী মোটরসাইকেল পরিষ্কার করছেন এক চালক। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যদিও শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর অধিকাংশ স্থানে পানি সরে গেছে, তবে কিছু নিচু এলাকায় এখনো পানি জমে রয়েছে।

 এর মধ্যে অন্যতম যাত্রাবাড়ীর কাজলা। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা এলাকাবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গত ৬-৭ বছর ধরে বর্ষা এলেই এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হক বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে এই সড়কে দীর্ঘ সাত বছর ধরে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। কমিশনারকে বহুবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও জানান, বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় এবং তা সহজে সরানো যায় না। আবহাওয়া ভালো থাকলে কয়েকদিনের রোদে পানি শুকিয়ে যায়, কিন্তু পানি বের হওয়ার কোনো ড্রেনেজ বা স্যুয়ারেজ লাইনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাটি প্রায়ই পানির নিচে ডুবে থাকে। এতে করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট, হাসপাতালসহ সবকিছুই পানিতে নিমজ্জিত থাকে, যা চলাচলে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করে।

স্থানীয় দোকানদার রমিজ মিয়া বলেন, বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে। এতে দোকানে ক্রেতা আসে না, মানুষ চলাচল করতে পারে না। আজ শুক্রবার— মসজিদও সামনে, কিন্তু মানুষ নামাজ পড়তে আসতেও পারছে না। অনেক সময় দেখি, জমে থাকা পানিতে বাইক, লেগুনা, সিএনজি ধোয়া হচ্ছে—এই জায়গাটা যেন গাড়ি ধোয়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় অনেক দোকানপাট, করাতকল, প্রাইভেট হাসপাতাল ও একটি জামে মসজিদ রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত এখানে একটি কার্যকর ড্রেনেজ বা স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা করা হোক, যাতে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।

এসএ/আরএইচ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।