ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ঘোষণা সামনে আসার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।
রোববার রাতে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানোর পেছনে মূলত তিনটি কারণ রয়েছে সংস্কার, বিচার (ট্রায়াল) ও নির্বাচন আয়োজন।
ইতোমধ্যে সংস্কারের জন্য ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশ হাতে আসছে। এসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান প্রেস সচিব।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে ভয়াবহ সহিংসতায় যারা জড়িত, তাদের বিচার শুরু হবে। অনেক শিশু পর্যন্ত মারা গেছে। এই বিচার আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই সম্পন্ন করতে হবে।
নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্যই এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্বাচন উপযোগী সময় হিসেবে ধরা হয়েছে।
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন ডিসেম্বরেই চায়। তাদের দাবি, এপ্রিল মাস আবহাওয়ার দিক থেকে অনুপযুক্ত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, তারা জানিয়েছেন, এপ্রিলের প্রথম ১০ দিন দেশে বড় ধরনের তাপপ্রবাহ থাকে না। কালবৈশাখীর আশঙ্কাও থাকে দ্বিতীয়ার্ধে, বৈশাখ মাস শুরু হওয়ার পর। তাই আবহাওয়ার দিক থেকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সময়টা উপযোগী।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জামায়াতে ইসলামী সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এপ্রিলকে নির্বাচন উপযোগী সময় হিসেবে মানতে নারাজ। তারা নির্বাচন ডিসেম্বরেই চায়।
এসআইএস