ঢাকা, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

সাক্ষাৎকার-আজিজুল হক ইসলামাবাদী

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০৯, জুন ১৬, ২০২৫
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তবে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সেক্টরে তৈরি হওয়া জঞ্জাল মুক্ত করার দাবি জানান।

সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন তিনি।

হেফাজতে ইসলামের এ নেতা বলেন, নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের একটি পদ্ধতি। যেহেতু দীর্ঘ সময় এ দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যকরে পরিণত করেছে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা দ্রুত নির্বাচনের দাবি করছি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ১৬ বছরে যে জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, সে জঞ্জাল মুক্ত না করলে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই জঞ্জাল মুক্ত করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা জোটকে হেফাজতে ইসলাম সমর্থন করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। হেফাজতে ইসলাম কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নির্বাচনে কাউকে সাংগঠনিকভাবে সমর্থনও করবে না। তবে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা এ দেশের নাগরিক, ভোট দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে সমর্থন কিংবা ভোট দিতে পারেন যে কেউ। তবে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও মুসলমানদের কাছে আহ্বান হলো আল্লাহ, কোরআন এবং রসুলের (সা.) বিরুদ্ধে আইন করার মানসিকতার কোনো শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসে, সেদিকে সজাগ থাকা। যারা ইসলামের পক্ষে থাকে তাদের নির্বাচিত করবে এ দেশের তৌহিদি জনতা।

২০১৩ সালের ৫ মের রাতে শাপলা চত্বরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রোমহর্ষক অভিযানের বর্ণনা দিয়ে হেফাজতে ইসলামের এ নেতা বলেন, মাগরিবের নামাজের পর সমাবেশস্থলের চারদিকে ঘেরাও করা শুরু করেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। রাত গভীর হওয়ার পর বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং পানির সংযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় খাবার এবং লোকজন আসার সব পথ। রাত ১২টায় চারদিক থেকে আক্রমণ শুরু করে। আমাদের ওপর নির্দয় এবং নিষ্ঠুরভাবে হামলা করা হয়েছে। ওই অভিযানে ১ লাখ ৫৪ হাজার গুলি বন্দুকের নল থেকে বের করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার আগে-পরে অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের লাশ গুম করা হয়েছে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। এটা ছিল এ দেশের জনগণের জন্য একটি নিষ্ঠুর অধ্যায়। হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘ক্র্যাকডাউন’ চালিয়েছে। হত্যা ও গুম করেছে। উল্টো আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিন শতাধিক মামলা করেছে। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ঢাকা শহরে দায়ের হওয়া মামলার ২০টি প্রত্যাহার করেছে এ সরকার। বাকি মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি করছি।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।