ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন ২০২৫, ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

ঐকমত্য বহু দূর, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে জুলাই সনদ

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:১৬, জুন ২৪, ২০২৫
ঐকমত্য বহু দূর, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে জুলাই সনদ ছবি: শাকিল আহমেদ

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য যেন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। কমিশনের চলমান সংলাপে দেখা যায়, সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টনের পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন প্রক্রিয়া, এমনকি সংবিধানের মূলনীতি—প্রায় প্রতিটি মৌলিক ইস্যুতেই রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন অবস্থানে।

কেউ বলছে নির্বাচনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই নয়, কেউ আবার ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের আগেই কোনো আলোচনাকে অর্থহীন বলছে। এমন বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে—রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য না হলে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে ‘জুলাই সনদ’? নাকি মতবিরোধ, সংশয় আর রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ভেতরেই হারিয়ে যাবে প্রতিশ্রুত পরিবর্তনের স্বপ্ন?

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার পতনের পর দাবি ওঠে রাষ্ট্র সংস্কারের। এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে গঠন করে ১১টি পৃথক সংস্কার কমিশন। পরবর্তীতে এসব কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

ঘোষণা ছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে জুলাই মাসে প্রণয়ন করা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘জুলাই সনদ’। তবে কয়েক দফা সংলাপ, পর্যালোচনা ও মতবিনিময়ের পরও রাষ্ট্র সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের অন্তত অর্ধেক বিষয়েই এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়নি, বিশেষ করে মৌলিক ও কাঠামোগত সংস্কারের প্রশ্নে বিরোধ স্পষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই প্রক্রিয়া কেবল নথিপত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে।


কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এরইমধ্যে ‘ঐকমত্য’ শব্দটির সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। বৈঠকে উঠে এসেছে ক্ষোভ, আসন বিন্যাস নিয়ে আপত্তি, কোনো কোনো দলের অতিরিক্ত সময় পাওয়া এবং একাধিক নেতাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ। নিবন্ধনহীন দলের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কয়েকটি পক্ষ।

সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের শুরুর দিনই উত্তেজনার রেশ ছড়ায়। লন্ডনে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে দেওয়া যৌথ বিবৃতির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী এই সংলাপ বয়কট করে। যদিও পরদিন দলটি সংলাপে ফিরে আসে। কিন্তু জামায়াতের ফিরে আসার দিনই দলটির প্রতি কমিশনের পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সিপিবি, বাসদ, গণফোরাম এবং এলডিপির একাংশ সংলাপ বয়কট করে। পরে তারা আবার আলোচনায় যোগ দেয়। এই টানাপোড়েন, পরস্পরবিরোধী অবস্থান ও আস্থার সংকট রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘জুলাই সনদ’ তৈরির প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিচ্ছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারার বিষয়ে লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, “সাংবিধানিক বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হচ্ছে না, এটাই আমাদের দেশের পাওয়ার পলিটিক্সের বৈশিষ্ট্য। ক্ষমতার প্রতি যে আকর্ষণ, এক্ষেত্রে একদলের সঙ্গে অন্যদলের তেমন একটা পার্থক্য নেই। ”

অভ্যুত্থানের পর পরই জুলাই সনদ তৈরি করা উচিত ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর পরই সমন্বয়করা সনদ তৈরির কাজটি করে ফেলতে পারতেন। ওই সময় যতটা সমন্বয়কদের প্রতি মানুষের আস্থা, ভালোবাসা বা আবেগ কাজ করছিল, সেটা এখন আর নেই। ফলে এখন সবগুলো রাজনৈতিক দল একমত হয়ে একটা সনদ করবে—এটা আমার কাছে অসম্ভব মনে হয়। ”

জুনের শেষার্ধেও সংলাপ ফলপ্রসূ জায়গায় না পৌঁছানোতে জুলাই সনদ তৈরির বিষয়ে শঙ্কা থেকে যায় কি না—এ প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, “শব্দের কারিকুরি দিয়ে ভাসা ভাসা একটা কিছু তারা করে ফেলতে পারে, কিন্তু সেখানে সাবস্টেনশিয়াল (গুরুত্বপূর্ণ) কিছু থাকবে না। ” এ সনদ রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তাবায়ন করবে না বলে মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

গত দুই সপ্তাহের সংলাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে একটি জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলটির সঙ্গে এই অবস্থানে একমত রয়েছে সমমনা এলডিপি, এনডিএম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট এবং ১১ দলীয় জোট। তারা এ দুটি প্রস্তাবের বিরুদ্ধেই নিজেদের অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। দলগুলোর মতে, এই প্রস্তাবগুলো ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ভারসাম্য ও ক্ষমতার কাঠামো নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এনসিসি গঠনের মাধ্যমে নির্বাহী শাখার কর্তৃত্ব হ্রাস পাবে এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপি। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি মনে করছে, যারা এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করছেন, তারা মূলত ফ্যাসিবাদী কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে চান না।

এ ছাড়া সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি দল ও জোট কেবল ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিলের বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে একমত হয়েছে। তবে এখানেও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য স্পষ্ট। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অর্থবিল ও আস্থা প্রস্তাবের বাইরে সংবিধান সংশোধনের সময়েও সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না। বিপরীতে বিএনপি বলেছে, যুদ্ধাবস্থাতেও সংসদ সদস্যদের দলীয় অবস্থানের বাইরে গিয়ে মতপ্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত নয়।

সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের মতে, এটি গ্রহণযোগ্য ও সময়োপযোগী একটি প্রক্রিয়া। তবে এই সুপারিশ বাস্তবায়নে উচ্চকক্ষের অস্তিত্ব জরুরি কি না, এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

বিএনপি মনে করে, দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় উচ্চকক্ষ গঠনের প্রয়োজন নেই। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে সুষ্ঠু নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, ৫০ শতাংশ ভোটও পায়নি। উচ্চকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৬৫-৬৬ শতাংশ ভোট প্রয়োজন, যা বাস্তবসম্মত নয়। ফলে ভবিষ্যতে সরকারি ও বিরোধী দলের ঐকমত্য ছাড়া সংবিধান সংশোধন সম্ভব হবে না। কিন্তু বাংলাদেশে এমন ঐকমত্য আরও অসম্ভব। সে কারণে আমরা ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। ”

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী পুরো সংসদে আনুপাতিক নির্বাচন চাইলেও, ঐকমত্যের স্বার্থে আপাতত শুধু উচ্চকক্ষকে ভোটের ভিত্তিতে গঠনের প্রস্তাবে সম্মতি দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। দলটির মতে, এতে সব দলের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির সুযোগ তৈরি হবে, যা সংসদীয় সংস্কারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

একইরকমভাবে দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত আছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন সাংবিধানিক বিধান যুক্ত করার বিষয়ে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও আরও কয়েকটি দল এই সীমাবদ্ধতার পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের মতে, নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় সময়সীমা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি, এলডিপি ও এনডিএম। দলগুলো মনে করে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন এবং সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টনের মতো মৌলিক ও কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বর্তমান পদ্ধতি বদলের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও কী প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে বা এই নির্বাচনে কারা ভোটার হবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একই বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে নারী আসনের ক্ষেত্রেও। নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার ব্যাপারে সব দলই মত দিয়েছে, তবে কী প্রক্রিয়ায় এই আসন নির্বাচিত হবে, তা নিয়ে রয়ে গেছে অনৈক্য। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সরাসরি ভোটের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। দল দুটি বলছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে তাদের আপত্তি নেই, তবে বর্তমানে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন কঠিন। তাদের মতে, এ বিষয়ে আরও সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বাস্তবসম্মত। বিপরীতে, এনসিপি বলছে, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট হওয়া উচিত।

দ্বিমত দেখা দিয়েছে সংবিধানের মূলনীতি নিয়েও। বিএনপি বলছে, তারা পঞ্চদশ সংশোধনীকে মানে না এবং সংবিধানকে সংশোধন করে সেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায়, যেখানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘আল্লাহর ওপর বিশ্বাস’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। দলটির দাবি, ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট পেলে তারা সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধ সংযুক্ত করবে। অন্যদিকে বামপন্থী দলগুলো ১৯৭২ সালের সংবিধানে বর্ণিত মূল চার নীতির পক্ষে অনড়। তাদের মতে, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ—এই মূলনীতিগুলোই রাষ্ট্রের ভিত্তি। এগুলো থেকে সরে এসে কোনো জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলেই তারা মনে করে।

জামায়াতে ইসলামী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের বিষয়গুলোতে একমত হলেও, তারা বিএনপির মতো পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফেরার পক্ষে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, তারা ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ মূলনীতির বিরোধী। দলটির মতে, যদি ওই মূলনীতি বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো নিয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব আসে, তবে তারা তা আলোচনা করবে।

মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন অনৈক্যতে এখন প্রশ্ন উঠেছে—জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদের যে প্রস্তুতি চলছে, তা আদৌ কতটা সফল হতে যাচ্ছে? অথবা অধিকাংশ বিষয়েই ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে ‘জুলাই সনদ’ কতটা গ্রহণযোগ্য বা বাস্তবসম্মত হবে?

এ প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বাংলানিউজকে বলেন, “অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। অনেক বিষয়ে আবার হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় আটকে যাচ্ছে। সেগুলো আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। এটা তো একটা নেগোসিয়েশনের প্রশ্ন। বিতর্ক হবেই, এর মধ্যে দিয়ে কোনো একটা জায়গায় পৌঁছানো যাবে। গণপরিষদ হলে তো এরকমই হতো। কমিশনের অধিকাংশ বিষয়েই তো আমরা একমত। মূল সমস্যা ৮-১০টি বিষয় নিয়ে, যেখানে মতভিন্নতা আছে। রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়েও মতপার্থক্য আছে। এটা সমাধান হওয়া কঠিন। সেখানে আমরা একটা প্রস্তাব করেছি—গো ব্যাক টু নাইন্টিন সেভেন্টি ওয়ান। ১৯৭১ সাল তো আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তি। ”

যতটুকু একমত হওয়া যাবে, সেটা নিয়ে জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব জানিয়ে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, “যেগুলোতে ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সেগুলো ফয়সালা হবে। ”

এসবিডব্লিউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।