বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে কর্মচারীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের পেছনের পদ্মা ক্যান্টিনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মচারীদের পরিচালিত দুটি ক্যান্টিনসহ অন্যান্য দোকানও বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড সচিবালয়ের মধ্যে দুটি ক্যান্টিন এবং ওএমএসের দোকান পরিচালনা করে।
এদিকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের রয়েছে দুটি অংশ। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের একটি পক্ষ ক্যান্টিন দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সমবায় সমিতি তাদের নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চায়। আগের কমিটির (সমবায় সমিতি) বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সমবায় অধিদপ্তর সমবায় সমিতি পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়। কিন্তু আগের কমিটি দায়িত্ব হস্তান্তর করতে সময়ক্ষেপন করছিল। তবে এর আগেই কর্মচারীদের একটি পক্ষ ক্যান্টিন দখল করে পরিচালনা শুরু করে। তাছাড়া এ বিষয়ে আদালতে রিটও আছে।
কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার আদালতের এই রিটের রায়কে কেন্দ্র করে সমবায়ের আগের কমিটি ও সংযুক্ত পরিষদের বাদিউল গ্রুপ মিলে নুরুল ইসলাম গ্রুপের নেতাকর্মীদের হামলা করে বলেও তারা জানান।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যান্টিনের বাজার এসেছিল এবং ট্রাক থেকে ওএমএসের পণ্য নামানো হচ্ছিল। এ সময় বাদিউল কবীর গ্রুপের ৩০/৪০ জন রড, লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সভাপতি নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্মচারীরা। ফলে বুধবার সকাল থেকে ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে।
এসকে/এমইউএম/আরএ