পাবনার আতাইকুলা থানার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শাহীন আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় সাত কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
মামলার তদন্তে উঠে এসেছে, মাদক ব্যবসা থেকে উপার্জিত টাকায় তিনি জমি ও অন্যান্য মূল্যবান স্থাবর সম্পদ কিনেছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
তিনি জানান, শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ আতাইকুলা থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় মামলা (নং-১০) দায়ের করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, তিনি অপরাধলব্ধ অর্থে ১৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ জমি কিনেছেন, এর বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এসব সম্পদ ক্রোকের জন্য সিআইডি আদালতে আবেদন করলে, আদালত তা অনুমোদন দেন। এ ছাড়া শাহীন আলমের নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ছয় কোটি ৬২ লাখ টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তার ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৭ টাকা ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যদিও শাহীন আলম নিজেকে দুগ্ধ ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন, তদন্তে উঠে এসেছে তিনি একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে শাহীন আলমের আরও সম্পদের অনুসন্ধান চলছে এবং মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
এমএমআই/এএটি