ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৩, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নীতি গবেষণা কেন্দ্র’ আয়োজিত রোহিঙ্গা সমস্যার সংকট ও সমাধান নিয়ে দিনব্যাপী কৌশলগত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত কনফারেন্সকে মাথায় রেখেই এই কর্মশালা আয়োজন করে নীতি গবেষণা কেন্দ্র।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আমাদের খুবই শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন। দুঃখজনকভাবে ৮ বছরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট সমাধানে যথেষ্ট সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। এটি মানবিক ইস্যু, এটি আন্তর্জাতিক সংকট।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আসিয়ানকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এই সংকটের সমাধান করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য এ সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বিত প্রচেষ্টা নাই।  

উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত বলেন, আমরা কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, মিলিটারি এই ধরনের সংকট সমাধান করতে পারে না। রাজনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি এ সংকট সমাধানে প্রয়োজন কূটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে নিজের মাতৃভূমিতে ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার।

এম সাখাওয়াত আরও বলেন, আন্তর্জাতিক উদ্যোগে এই সংকটের দ্রুত সমাধান হওয়া জরুরি। এর সমাধান আরও প্রলম্বিত হোক আমরা চাই না।

এর আগে প্রথম সেশনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের দ্বারা ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা নীতি প্রচণ্ডভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল। রোহিঙ্গা সমস্যাকে আমাদের একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, এটি শুধু একটি মানবতাবাদী সমস্যা নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ও সামরিক সমস্যা। এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক সমস্যাও বটে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এলায়েন্সের (আরএনএ) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।  মূলত কোনো রাজনৈতিক বা দেশীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনো ধরনের প্রত্যাবর্তন আসলে সম্ভব হয় না।

প্রথম সেশনের শুরুতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। তিনি এই আলোচনার প্রেক্ষাপট ও সংকট সমাধানে বিভিন্ন প্রস্তাবও তুলে ধরেন।

এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।