ঢাকা, সোমবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

খাদ্য অপচয় রোধে ডেনমার্ক দূতাবাসের ‘জিরো ফুড ওয়েস্ট লাঞ্চ’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩২, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
খাদ্য অপচয় রোধে ডেনমার্ক দূতাবাসের ‘জিরো ফুড ওয়েস্ট লাঞ্চ’

ঢাকা: বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যপণ্য পুষ্টি জোগানোর পরিবর্তে অপচয়ে নষ্ট হয়। এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাস আয়োজন করেছে ‘জিরো ফুড ওয়েস্ট লাঞ্চ’।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এই বিশেষ আয়োজনে অংশ নেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্সার ও পরিবর্তন-সৃষ্টিকারীরা। লক্ষ্য ছিল সচেতনতা বাড়ানো এবং খাদ্য অপচয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করা।

জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক খাদ্য ক্ষয় ও অপচয় সচেতনতা দিবস’ (২৯ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাল, মাছ, ডাল ও আমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষের পাতে পৌঁছানোর আগেই নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে, বাড়ে মূল্যস্ফীতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাপ।  

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, খাদ্য অপচয় মানেই সম্ভাবনার অপচয়। কৃষক আয় হারান, পরিবারগুলো বেশি দামে খাদ্য কিনতে বাধ্য হয়, আর আমাদের গ্রহকে দিতে হয় এর মাশুল। ‘জিরো ফুড ওয়েস্ট লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, টেকসই সমাধান ও সুস্বাদু খাবার একসঙ্গে সম্ভব।

আয়োজনের বিশেষভাবে পরিকল্পিত মেন্যুটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে প্রতিটি উপাদান রান্না থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত পূর্ণভাবে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে দেখানো হয় যে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন রান্নাঘরেই খাদ্য অপচয় কমাতে কার্যকর হতে পারে, স্বাদ ও গুণমান অক্ষুণ্ণ রেখেই।

বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের খাদ্য ও কৃষি খাতের সেক্টর কাউন্সেলর মারিয়া স্টেইন কনুডসেন বলেন, খাদ্য ক্ষয় মানে হলো জীবিকা হারানো, পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অতিরিক্ত চাপ। কিন্তু কার্যকর সমাধান রয়েছে। আজকের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা মানুষকে নতুন করে অভ্যাস ভাবতে অনুপ্রাণিত করতে পারি এবং ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারি, যা একসঙ্গে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।  

এই আয়োজন ডেনমার্ক দূতাবাসের 'এসডিজি ফ্যাসিলিটি'-এর অংশ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে স্থানীয় কণ্ঠ, উদ্ভাবন ও অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করে বলেও উল্লেখ করেন মারিয়া।

টিআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।