ঢাকা: বাংলা নববর্ষে স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। পাশাপাশি সম্ভাব্য অগ্নিকান্ড এড়াতে ঢাকা মহানগরীতে পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠানস্থল ধুমপানমুক্ত রাখারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, পুলিশ মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ, র্যাব মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার, ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নাঈম মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহিদুল হকসহ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পহেলা বৈশাখে হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে দেশে জাতির পিতাকে সাড়ে ৩ বছরের মাথায় স্বপরিবারে খুন করা হয়, সেখানে সাধারণ জনগনের জন্য নিরাপত্তাটা একটু বেশিই নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যারা চায় না, তাদের থেকে জনগনকে নিরাপত্তা দিতে নববর্ষে এবার বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে সর্বস্তরের বাঙালি পারিবারিকভাবে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে পড়ে। সবাই যেন নিবিঘেœ সকল অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারে এ জন্যেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তাব অনুযায়ী নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠানস্থল ধুমপানমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে আর্চওয়ের মাধ্যমে থাকবে তল্লাশির ব্যবস্থা। সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে।
এছাড়া, অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স। অনুষ্ঠানে এসে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের উদ্ধারে বিশেষ একটি টিম কাজ করবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২.১০ঘন্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১০