ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেলায় গাড়ি পার্কিংয়ে ভোগান্তি

জান্নাতুল ফেরদৌসী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
মেলায় গাড়ি পার্কিংয়ে ভোগান্তি ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘ভালো কথা বললে তো বাঙালির কানে যাবে না’- বেশ চরাও হয়ে এ কথা বলছিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জন। এ কথা যাকে বলা সেই মোটরসাইকেল আরোহী বলেন ‘আমি এখ‍নই বের হয়ে আসবো।

আপাতত এখানেই পার্কিং করতে দিন’। কিন্তু না, সার্জন নারাজ। অবশেষে ৩ নম্বর পার্কিংয়ে যেতে হলো ওই মোটরসাইকেল আরোহীকে।

এদিকে প্রায় ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা পেয়েছেন কালশী থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন।   তার অভিযোগ, ‘আমার পরে আইসাও অন্য একটি গাড়ি পার্কিং করতে পারছে। কিন্তু আমারে শুধু শুধু এতক্ষণ দাঁড়া করাইয়া রাখলো। ’

শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের স্থানে এমন চিত্রই দেখা যায়। শত শত মানুষের ঢলে দুপাশের পার্কিংয়ের স্থান যেন আরও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।

কলাবাগান থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের ড্রাইভার মুকুল জানান, তাকেও প্রথমে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিলো। ২ নম্বর গেটে পার্কিং করতে না দেওয়ায় মেলার ভিআইপি গেট থেকে মূল রাস্তার মোড় পর্যন্ত গাড়ির লাইন দাঁড়িয়ে যায়। সাথে যানজট লেগে যায় বিজয় সরণি মোড়েও। পরে সার্জনরা গাড়ি সরিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহীদের। শাহজানপুরের অনিক বলেন, সার্জন কোনোভাবেই এখানে  (মেলার ১ নম্বর গেট সংলিষ্ট) মোটরসাইকেল রাখতে দিচ্ছেন না।

মোটরসাইকেল রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা এখানে নেই বলেও দাবি করেন ট্রাফিক সার্জন। এদিকে ৩ নম্বর পার্কিং-এ জায়গা খালি থাকলেও, সেখানে যেতে চান না কোনো গাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহী বলে দাবি করেন দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জন শাহ আলম।

তিনি  জানান, সবাই চায় মেলা ও গেটে নেমে ঘুরে এসে আবার মেলার গেট থেকেই গাড়িতে উঠবে। কিন্তু সে সুবিধা তো সবাই পাবে না। কাউকে না কাউকে ৩ নম্বর পার্কিং যেতে হবেই। সেখানে কেউ যেতে চান না বলেই এ সমস্যা হচ্ছে।

সার্জন শাহ আলম আরও জানান, এবার মেলার ১, ২ নম্বর ও  র্যাব কার্যালয়ের সামনে ৩ নম্বরসহ মোট ৩টি স্থান গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত রাখা হয়েছে। তিন ঘণ্টা পার্কিংয়ের জন্য গাড়ি প্রতি ৩০ টাকা ও মোটর সাইকেল পার্কিংয়ের জন্য ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

গাড়ি পাকিংয়ের জন্য যে জায়গাটুকু রাখা হয়েছে তা যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব এ এফ এম মনজুর কাদির। তিনি বলেন, আমাদের জায়গার স্বল্পতা রয়েছে। তাই এ বছর একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে এ বছর সম্ভব না হলেও, আগামী বছরগুলোতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আরও বেশি জায়গা রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।