ঢাকা: প্রশিক্ষণ নিতে আসা বিসিএস ক্যাডারের চার কর্মকর্তাকে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার সহকর্মীরা। জড়িত কর্মচারীদের দ্রুত বিচার দাবি জানিয়েছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) লিফটে ওঠাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে এনটিআরসিএ’র কর্মচারী শ্যামল, শুকলাল, তরুণ ও মিলন বিসিএস কর্মকর্তা মাসুদ জামান লিটনসহ চারজনকে মারধর করে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষা ক্যাডারের ১৬৫ জন প্রভাষক নায়েমে ১৪২তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের কলেজে পদায়ন করা হবে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিরতির সময় নায়েম ভবনের লিফট দিয়ে ওঠা-নামার এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ’র কর্মচারীরা বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কটাক্ষ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওই শিক্ষকরা নায়েমের ফটকের কাছে চা খেতে গেলে শ্যামলের নেতৃত্বে হামলা চালায়। এতে মাসুদ জামানসহ চারজন কর্মকর্তা আহত হন। মাসুদ জামানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া এক কর্মকর্তা হাতে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।
শিক্ষকরা আরও দাবি করেন, ওই কর্মচারীরা ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দিয়ে মারধরের হুমকি দেন। ট্রেনিংয়ে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজেরই এক শিক্ষকের নির্দেশে ছাত্ররা চলে যান।
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) স্বপন কুমার সরকার ও টিকিউআই-২ প্রকল্পের পরিচালক বনমালী ভৌমিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক সমঝোতা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এক সদস্যের কমিটিতে আছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ।
একাধিক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, আহত মাসুদ জামান সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ছেলে। হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তারা।
প্রশিক্ষণের জন্য নায়েমে এনটিআরসিএর মত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষকরা তা অন্যত্র স্থানান্তরের দাবিও জানান।
অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার শুক্রবার বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্যামলের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা অবৈধভাবে এনটিআরসিএর সনদ বিক্রিসহ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করার অভিযোগ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫