বাগেরহাট: সুন্দরবনে র্যাব-৮ এর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ দস্যুর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব-৮ এর উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. আশরাফ বাদী হয়ে বাগেরহাটের মংলা থানায় অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, দুপুরে নিহত ২ দস্যু ও উদ্ধারকৃত গোলাবারুদ মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতদেহ মর্গে থাকলেও স্বজনদের দেখা পাওয়া যায়নি।
ফলে পুলিশ নিহতদের স্বজনদের জন্য আর অপেক্ষা না করে তড়িঘড়ি করে মৃতদেহ দাফনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এর আগে সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মরা পশুর ফরেস্ট ক্যাম্পের পূর্ব পাশে সীমানার খাল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ দস্যু নিহত হয় বলে র্যাব জানায়।
এ সময় র্যাব ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৭৭টি বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে।
র্যাব নিহতদের দস্যু দাবি করলেও তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। এদের মধ্যে একজনের নাম সগীর হাওলাদার (৩০)।
বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে দেখা যায় মংলা থানা পুলিশ নিহতদের ময়নাতদন্ত করতে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোশাররফ হোসেনের নের্তৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল ময়নাতদন্ত করেন। এরপর পুলিশ মর্গে ওই ২ ব্যক্তির স্বজনদের খুঁজে না পেয়ে মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
তারা বেওয়ারিশ হিসেবে দেখিয়ে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম নামে একটি সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করতে বাগেরহাট পৌরসভা মেয়রের কাছে আবেদন করেছেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মইন উদ্দিন মোল্লা রাতে বাংলানিউজকে বলেন, নিহতদের শরীরে একাধিক গুলি পাওয়া গেছে।
মংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহি জানান, সুন্দরবন থেকে নিহত ওই ২ ব্যক্তির মৃতদেহ মংলা থানায় আনার পর এই এলাকার উৎসুক জনতা থানায় ভিড় করে। তবে কেউই এদের সনাক্ত করতে পারেনি। এদের বিষয়ে পুলিশের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫
** সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে ২ দস্যু নিহত