ঢাকা: পিঠাপুলি ঘিরে অনন্য ভিড় জমেছে রাজধানীর বিজয় স্মরণীর সামরিক জাদুঘর মাঠে। এরমধ্যে তরুণ-তরুণীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।
শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া ‘ফুড ফেস্টিভাল’ এখন দশনার্থীদের পদভারে ছিল মুখরিত। ৪০টিরও স্টলে একশ’র বেশি পিঠার পসরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা। কেউ আবার কিনে খাচ্ছেন। অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন বাসায় পরিবার-পরিজনদের জন্য।
`ঢাকা ফুডিস’ নামে একটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক খাবার প্রতিষ্ঠান বাঙালির আদি সংস্কৃতির অঙ্গ পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করেছেন।
শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবে একশ টাকা মূল্যের টিকিট সংগ্রহ করেই প্রবেশ করতে পারবেন যে কেউ। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণ।
শুধু পিঠাই নয়, সামরিক জাদুঘর মাঠ এখন পিঠার সঙ্গে সাংস্কৃতিক আয়োজনেও মেতেছে। সঙ্গে থাকছে খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতাও। বিরিয়ানী আর বার্গার এই দুটি আইটেমে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর পিঠা উৎসব মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছে স্টলগুলো।
গরম গরম ভাপা পিঠা, চুড়ুই পিঠা আর আর চালের রুটি টেবিলে সাজিয়ে রেখেছেন শর্মিস ফুড কর্নারের বিক্রেতারা।
শর্মিস ফুড কর্নারের কর্ণধার আইরিন পারভিন শর্মি জানালেন, এবারই প্রথমবারের মতো মেলায় অংশ নিয়েছি। তবে বাসায় অনেক আগে থেকেই পিঠা আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল।
উৎসবে অংশ নিয়ে তার তৈরি পিঠা বেশ নজর কেড়েছে বলে বলেই উল্লেখ করলেন তিনি।
মেলায় সন্ধ্যা থেকে উপচেপড়া ভিড় জমেতে শুরু করে। পিঠা-পুলি, সুস্বাদু খাবারের সমাহার আর সুঘ্রাণের সঙ্গে পরিবেশনকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে মেলায় শুরু হয় সংগীতের মূর্ছনা। রয়েছে সেলফি তুলার সুযোগও।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুদাবিতে বসবাসকারী দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ মেলায় ঘুরতে এসেছেন। স্কুল ছুটি থাকায় মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন ও আহমদ আজমল হোসাইন নামে এই তরুণদ্বয় বাংলাদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন।
বাংলানিউজের আলাপ-চারিতায় জানালেন, দেশে এত ধরনের পিঠা তৈরি হয়, এটা জানা ছিল না। পিঠার নানা বাহার দেখে মুগ্ধ। মেলা থেকে অনেক ধরনের পিঠা তারা খেয়েছেন।
মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করছে কিশোর আলো বন্ধু ও স্বেচ্চাসেবী সংগঠন ‘ওয়ান ডিগ্রি’।
ওয়ান ডিগ্রির ইয়শরা জাহান নূর, কাজী ফারহিন সন্ধী, ইশতিয়াজ হোসেন তুষার জানান, মেলায় আবর্জনা ফেলতে ছয়টি ডাস্টবিন তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারী ০৯, ২০১৫