নারায়ণগঞ্জ: পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের ছয় বছরের শিশু সন্তানকে জেলার কাঁচপুর সেতুর উপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ছুড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন তার পাষণ্ড বাবা।
তবে শিশুটির শরীরে মোটা জ্যাকেট থাকায় পানিতে তলিয়ে যায়নি।
শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় এ ছুড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।
পরে এলাকাবাসী ছেলে হত্যার চেষ্টাকারী বাবা সুমন মিয়াকে (৩০) আটক করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার নরিন্দ্রপুর গ্রামের সুমন মিয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকার মিরপুর ৩ নম্বর সেকশনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পারিবারিক কলহের ধরে সুমনের স্ত্রী লিজা বড় মেয়েকে নিয়ে অনেকদিন ধরে বাবার বাড়ি শরীয়তপুরে আলাদা বসবাস করে আসছেন।
শুক্রবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মোবাইল ফোনে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সুমন তার ছয় বছরের শিশু ছেলে আল-আমিনকে কাচপুর সেতুর উপরে নিয়ে এসে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার ঘটনাটি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই শিশু আল-আমিনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে।
শিশু ছেলেটির শরীরে মোটা জ্যাকেট থাকার কারণে পানিতে ভেসে ছিল বলে জানিয়েছেন ওই দোকানদার।
ওই সময়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী শিশুর বাবা সুমনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এ ঘটনার খবর পেয়ে কাচপুর সেতু এলাকা থেকে সুমনকে আটক করে নিয়ে আসে।
পুলিশের ধারণা ওই শিশুর বাবা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উদ্ধার শিশুটিকে স্থানীয় সেনপাড়া এলাকার আবু বকর সিদ্দিক নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫