ভোলা: ২০ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ভোলায় দু’টি অটোরিকশা, ও একটি মাহেন্দ্রতে আগুন এবং চারটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের যোগীরঘোল ও ইলিশা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও শহরের চরনোয়াবাদসহ বেশ কিছু স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হরতাল সমর্থকরা।
এদিকে, রাতভর অভিযান চালিয়ে নাশকতার অভিযোগে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি চলাচল।
শহরের অধিকাংশ দোকান-পাট ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নাশকতার আশঙ্কায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
র্যাব-৮ এর ডিএডি মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হরতালে নাশকতা ঠেকাতে র্যাব সক্রিয় রয়েছে, চলছে অভিযান। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, সকাল পর্যন্ত ভোলা সদর আটজন ও দৌলতখান থেকে একজনসহ মোট নয়জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের ও আশপাশের এলাকাসহ জেলা জুড়ে পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫