ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুট ওভারব্রিজে ফুলের বাগান

মোস্তফা ইমরুল কায়েস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
ফুট ওভারব্রিজে ফুলের বাগান ছবি: জিএম মুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ফুলের সৌন্দর্য কে না ভালোবাসে! ফুলে ফুলে সোভিত বাগান দেখে মুগ্ধ হন সবাই। কিন্তু যান্ত্রিক নগরের বাসা-বাড়িতে তো আর নেই ফুল বাগান।

তবু ফুলের প্রতি ভালোবাসা হারায়নি মানুষ। বাসার ছাদে বা বারান্দায় ছোট ছোট টবে ফুল গাছের পরিচর্যা করেন অনেকেই। তবে নাগরিক কর্মব্যস্ত জীবনে ফুলের পরিচর্যার সময় ও সামর্থ্য নেই সবার। তাই, পথ চলতেই যদি মেলে ফুলের সুবাস, তাহলে কেমন হবে ভাবুন তো!
 
পথচারীদের জন্য সেই ব্যবস্থাই করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঢাকা উত্তরের সবগুলো ফুট ওভারব্রিজে শোভা পাবে ফুলের গাছ। ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের সবগুলো ওভারব্রিজেই লাগানো হবে ফুলের গাছ।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ফুট ওভারব্রিজ রয়েছে ৫০টি।

রাস্তা পারাপারের সময় পথচারীরা অনেকগুলো ওভারব্রিজ ব্যবহারেই অনাগ্রহী। ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের অভ্যস্ত করতে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে একটি অভিযানও চালানো হয় রাজধানী জুড়ে। কিন্তু এরপরও ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার পরিহার করছেন পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করায় নিয়মিতই ঘটছে দ‍ুর্ঘটনা।
 
পথচারীরা যেন ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহী হন তাই ওভারব্রিজের উপরে ফুলের গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক। পথচারীদের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সবুজ নগরী গড়তে অনুপ্রাণিত করতে প্রকল্পটি তিনি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।  
 
উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটিতে ৫০টি ওভারব্রিজের উপরে প্রায় চার হাজার ফুলের গাছ লাগানো হবে। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা। ব্যয়ের পুরোটাই বহন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এসব গাছের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন নার্সারি থেকে। প্রকল্পটির আওতায় প্রথমত বিএএফ শাহীন কলেজের সামনের ওভারব্রিজে লাগানো হচ্ছে বাগানবিলাস ফুল। ব্রিজটির উপরে লাগানো হয়েছে মোট ৭২টি বাগানবিলাসের পরিণত গাছ। এসব গাছ লাগানোর শুরু থেকেই পথচারীরা সেখানে পাবেন ফুলের সৌন্দর্য। ব্রিজগুলি দ‍ূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ঝুলন্ত ফুলের বাগান!
 
এখনও ব্রিজের উপরে গাছ লাগানোর কাজ চলছে। একে একে প্রতিটি ওভারব্রিজে লাগানো হবে ফুলের গাছ। প্রতিটি ওভারব্রিজের গাছের পরিচর্যায় থাকবেন একজন করে মালি। যারা ‍প্রতিদিন দুবার করে গাছে পানি দেবেন ও গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
 
ফুলের গাছগুলো লাগানো হচ্ছে লম্বা লম্বা টবে। গাছকে সুরক্ষিত করতে এর চারপাশে দেওয়া হবে লোহার তারের তৈরি বেড়া। পাশাপাশি গাছ থেকে কোনো পথচারী যাতে ফুল ছিঁড়তে বা গাছ চুরি করতে না পারেন তাও দেখবেন দায়িত্বে থাকা মালি।
 
এ ব্যাপারে ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদ বাংলানিজকে বলেন, নগরীকে মূলত সবুজ করে সাজানোর পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ এটি। এছাড়াও নগরবাসীর মাঝে সবুজ গাছ লাগানোর প্রবণতাকে উজ্জীবিত ও উৎসাহিত করতেই আমাদের এ প্রকল্প।
 
প্রথমে বিএএফ শাহীন কলেজের সামনের ওভারব্রিজে ফুল গাছের ব্যবস্থা হলেও পরে তা পর্যায়ক্রমে সব ওভারব্রিজেই করা হবে বলেও জানান ডিএনসিসির প্রকৌশলী।   
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ‍ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
এমআইকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।