ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাসমান কৃষির এফএও সনদ হাতে পেলেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
ভাসমান কৃষির এফএও সনদ হাতে পেলেন প্রধানমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) স্বীকৃতি সনদ হাতে পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সনদটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।


 
গত ১৫ ডিসেম্বর এফএও বাংলাদেশের ‘ভাসমান বাগান কৃষি পদ্ধতি’কে ‘গ্লোবালি ইমপর্টেন্ট অ্যাগ্রিকালচারাল হেরিটেজ সিস্টেম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
 
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বীকৃতির বিষয়টি বিস্তারিত অবহিত করে মন্ত্রণালয়।

দুপুরে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।  
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ স্বীকৃতি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সম্মানেরও। এটি আমাদের একটি বড় অর্জন। গ্রামে যেখানে সারা বছর পানি থাকে, কচুরিপানা বা অন্যভাবে এ চাষ হয়। এটি বেশ কার্যকর, তাই স্বীকৃতিটি পাওয়া গেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, বরিশালে প্রচলিত ভাসমান বেডে সবজি চাষের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে এফএও। পানিতে কলাগাছ বা অন্যভাবে সবজি চাষ হয় এসব এলাকায়। এটিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
 
একই সূত্র জানায়, এফএও’র একটি বিশেষজ্ঞ দল সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে একটি প্রতিবেদন পাঠায় এফএও সদরদপ্তরে। এরপর নিরীক্ষণ করে এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।
 
শাস্তি-অধিদপ্তর সিদ্ধান্তসহ বিএনসিসি আইনের খসড়া অনুমোদন:
‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন, ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এতে সংশ্লিষ্ট একটি অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যার সদরদপ্তর হবে ঢাকায়, তবে বাইরেও প্রয়োজনে একাধিক শাখা থাকবে।
 
সচিব বলেন, ১৯৫০ সালে একটি আইন ছিল, তার আলোকে এটি চলছিল। বিএনসিসি নামে ৭৯ থেকে চলে আসছে। এটি এক ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্রদের নিয়ে গঠিত। আগে সার্কুলারের ভিত্তিতে কাজ হতো। এখন আইন হলো।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি অধিদপ্তর গঠনের প্রস্তাব হয়েছে আইনে। দায়িত্ব, কর্তব্য, শৃঙ্খলা বিষয় সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়া অধিদপ্তর কীভাবে হবে, মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। উপদেষ্টা কমিটি আছে একটি। শৃঙ্খলা কমিটিও থাকবে।
 
‘এর উদ্দেশ্য ধরা হয়েছে- বাংলাদেশের বর্তমান ক্যাডেট কোর আছে, তাকে আরও সুবিন্যাস্ত করতে এ আইন’- বলেন তিনি।
 
সচিব বলেন, কোনো কর্মকর্তা বা ক্যাডেট, কর্মচারী আইন ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে ধারা ১৭-তে আছে, ৬টি ধাপে ব্যবস্থার কথা। কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করলে বাহিনী বা ইউনিটের অধীনে শাস্তি পাবেন। কোরের ক্যাডেটরা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। বেসামরিক কর্মকর্তারা আইন ভাঙলেও প্রযোজ্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
অধিদপ্তরের কাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন, অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ঢাকায় থাকবে। সরকারের অনুমতিতে প্রয়োজনে একাধিক শাখা রাখা যাবে বাইরে। জনপ্রশাসন, অর্থমন্ত্রণালয়, সচিব কমিটির পরামর্শে জনবল নিয়োগ। কতজন নিয়োগ পাবে, সেসব সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়, পরে হবে।
 
বৌদ্ধসংস্কৃতির দেশগুলোর সঙ্গে পর্যটন বাড়াবে বাংলাদেশ:
থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভুটানসহ বৌদ্ধ সংস্কৃতি লালনকারী দেশগুলোর সঙ্গে পর্যটন সম্পর্ক বাড়াবে সরকার। তারই সূত্র ধরে, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
 
শফিউল আলম জানান, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘এমওইউ অন কো-অপারেশন ইন দ্য ফিল্ড অব ট্যুরিজম বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড থাইল্যান্ড’ স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
 
প্রস্তাবটি থাইল্যান্ডের কাছ থেকেই এসেছে জানিয়ে সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড- দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তির খসড়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা অনুমতি দিলে নিজেদের মধ্যে এটি স্বাক্ষরিত হবে। থাইল্যান্ড সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে।
 
এছাড়া গত ৩ থেকে ৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নেদারল্যান্ডস সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
 
৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্যারিসে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে সভাকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
সচিব বলেন, নানা দ্বিমতের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত ঐক্যমত্যে আসা গেছে বলে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
 
এছাড়া গত ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর থাইল্যান্ড এবং ২১ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৫ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের বিষয়টি সভায় অবহিত করা হয়।
 
সচিব জানান, সেখানে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫/আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা
এসকেএস/এমজেএফ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।