ঢাকা: জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা মিজানুর রহমান হিমুকে (৩৬) হত্যা করেছেন তারই শশুর আলতাফ হোসেন মন্টু বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে এ অভিযোগ জানান তিনি।
সকাল ১০টায় রাজধানীর রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিং বকুলতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে মিজানুর রহমান হিমুর মরদেহ উদ্ধার করে রূপনগর থানা পুলিশ।
হাবিবুর রহমান বলেন, এটি সরাসরি হত্যাকাণ্ড। হিমুকে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন হিমুর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা আলতাফ হোসেন।
তিনি জানান, হিমুর প্রথম স্ত্রীর নাম লাবণ্য। সেই ঘরে তাদের এক ছেলে রয়েছে। ছয় মাস আগে হিমুর সঙ্গে লাবণ্যের ডিভোর্স হয়।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, লাবণ্যর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কয়েক বছর আগে মলি নামে একটি মেয়ের পরিচয় ছিলো হিমুর। পরে চার মাস আগে হিমু মলিকে বিয়ে করেন।
তিনি বলেন, মলির সঙ্গে হিমুর পরিচয় থাকাকালে মলির বাবা আলতাফ হোসেন হিমুর বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা করেন। ওই মামলায় হিমু একমাস জেলও খাটেন। পরে হিমু জেল থেকে বের হয়ে তার নামে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন (নম্বর- ২৯৫)।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে মলি তার আগের ঘরের দুই সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় চলে যান। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হিমু বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে আজ (রোববার) পুলিশের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে আমরা হিমুর মৃতদেহ শনাক্ত করি।
এদিকে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক চিকিৎসক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মাথায় গুলি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। পরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান জানিয়েছিলেন, নিহতের মাথায়র তালুতে আঘাতের চিহ্ন, গলায় দাগ, কানে জখম ও নাকে মুখে রক্ত ছিলো।
হিমু রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় থাকতেন এবং জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এজেডএস/আরএইচএস/এএসআর
** জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতা হিমুর মরদেহ উদ্ধার