মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ ধারণার কথা জানান। সোমবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
মেয়র বলেন, অনেক কিছুই হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে মনে হচ্ছে, আগুন ইলেকট্রিসিটি থেকেই লেগেছে। এখানে এতো বেশি ফ্লেমেবল প্রোডাক্ট (দাহ্য পণ্য) ছিল যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন দোতলার একাংশ ধসে গেছে। আমাদের জানা মতে কোনো জীবনহানি হয়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, রাত আড়াইটা থেকে আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি এখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বর্তমানে ২২টি ইউনিট কাজ করছে।
মেয়র বলেন, আগুন আগের চেয়ে বেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুন লাগার পরপরই সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন যেন তা পাশের এবং সামনের ভবনে না লাগতে পারে। কখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হবে বলা যাচ্ছে না, তবে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে সবাই কাজ করছেন।
ডিএনসিসির এ প্রধান অধিকর্তা বলেন, পানি স্বল্পতা আছে। যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। পুলিশ-ৠাবসহ সব বাহিনী এখানে কাজ করছেন।
এই অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, মেয়র হিসেবে এটা বলা সম্ভব নয়। তবে নাশকতা না হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ ভাগ।
মেয়র অগ্নিকাণ্ড নেভানোর কাজে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬/আপডেট ০৯১৯ ঘণ্টা
এইচএ/