বিবাহ নিবন্ধন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের হবিবর রহমানের মেয়ে মলি খাতুন ও ধুনট উপজেলার বিলচাপড়ি গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে শামীম আহম্মেদ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে সম্মান শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন।
প্রায় ৬ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিয়ের বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের না জানানোর জন্য মলিকে চাপ দেন শামীম। বিয়ের এক বছর পার হলেও বিষয়টি কাউকে জানাননি মলি। কিন্তু শামীমের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে শামীমের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেন মলি। কিন্তু মলির কথায় রাজি না হয়ে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করতে থাকেন শামীম।
একপর্যায়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর থেকে মলির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শামীম। এসময় জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। কিন্তু কোন প্রকার সমঝোতা না হওয়ায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন মলি।
এদিকে, মলির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন শামীম ও তার পরিবারের লোকজন। এ অবস্থায় শামীমের ঘরের বারান্দাতে অবস্থান করছেন মলি।
মলি খাতুন বলেন, বিয়ের কথা গোপন রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করেছি। এখন আমাকে স্ত্রীর বলে অস্বীকার করছে। তাই আমি শামীমের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। স্ত্রীর মর্যাদা না পাওয়া পর্যন্ত এ বাড়িতেই অনশন চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামীমের বড় ভাই বাদশা মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
আরএ