মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- চার নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান, ডৌয়াতলা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক খানসহ ১১ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডৌয়াতলা বাজার সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে ভূমি অফিসের পুকুরে এডিপির অর্থায়নে নির্ধারিত স্থানে ঘাটলা নির্মাণ না করে পুকুরের অন্য স্থানে ঘাটলা নির্মাণ, ইউএনও’র গাড়িতে ইট নিক্ষেপ ও তার ওপর হামলার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ভূমি অফিসের পুকুরের যে স্থানে আগের ঘাটলা ছিলো জনসাধারণের সুবিধার্থে সে স্থানেই নতুন করে ঘাটলা নির্মাণ করা হচ্ছিলো। কিন্তু ইউএনও সেখানে ঘাটলা নির্মাণ করতে নিষেধ করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া তার ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।
ডৌয়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, ইউএনও আমার বিদ্যালয়ের নামে জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ঘর উঠানোর জন্য পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন। কিন্তু সেসময় বিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে একটি হাট বসতো। শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কারণে সেই হাট তুলে দেওয়ার দাবিতে সেসময় মানববন্ধন করা হয়।
পরে সেই হাট তুলে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সেই স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তিন/চারদিন আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেই। এ কারণেই তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বামনা ইউএনও মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার এখান থেকে বদলি হয়ে বরিশাল বিভাগীয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এডিসি হিসেবে যোগদান করেছেন।
এ ব্যাপারে তার মোবাইলে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এজি/আরএ