বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ তারেক হেলাল বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তারেক হেলাল জানান, ধুনট উপজেলার বিলচাপড়ি গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে শামীম আহম্মেদ (২৭) ও গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের হবিবর রহমানের মেয়ে মলি খতুন (২৪) বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের সহপাঠী ছিলেন।
এরপর, মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে মলি স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে শামীম মলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে যান। শামীমের মুখে পুরো ঘটনা শুনে তাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি মিমাংসার জন্য ওইদিন রাতে দুই পরিবারের লোকজনকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বামী-স্ত্রীর সন্মতিক্রমে রেজিস্ট্রি তালাকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। একই সঙ্গে তিন মাসের খোরপোশ ও আনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ মলির হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন শামীম।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উভয় পরিবারের লোকজন বৈঠক বসে সমঝোতার মাধ্যমে মলি ও শামীমের বিয়ের বিষয়টি ছাড়াছাড়ি হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মলির কোনো অভিযোগ না থাকায় শামীমকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এনটি