ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

একটু পানি খাবো...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৭
একটু পানি খাবো... এনাম মেডিকেলের আইসিইউতে দগ্ধ ফাতেমা /ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। হাসপাতালে বেড়ে শুয়ে ছটফট করতে করতে খুঁজছে স্বজনদের। আর বলছে একটু পানি, একটু পানি খাবো...। এভাবেই করুণ আর্তি করতে দেখা গেল সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা দগ্ধ ফাতেমা আক্তারকে।

আইসিইউতে কিছু সময় পর পর খোঁজ করছেন স্বামী-সন্তান ও বাবা-মায়ের। কিন্তু তাকে এতিম করে একই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাবা রওশন আলী (৫৫) ও মা খায়রুন নেসা (৪৮)।

সাভারের নগর কোন্ডা এলাকায় বসবাস করেন তারা। বাবার অসুস্থতার খবর শুনে এসেছিলেন দেখতে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। সকালে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হয়েছে পরিবারের সবাই। এরই মধ্যে তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ফাতেমার স্বামী সেলিমফাতেমার স্বামী সেলিমেরও শরীরের প্রায় ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। একই হাসপাতালে তিনিও চিকিৎসাধীন। এছাড়া তাদের একমাত্র মেয়ে আয়মান রিফা (৪)। সেও কিছুটা দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের তালিকায় আরো রয়েছেন ফাতেমার ভাই হযরত আলীসহ কয়েকজন।

শনিবার এনাম মেডিকেলে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল এলাকা জুড়ে কান্নাকাটির রোল পড়ে গেছে। ফাতেমার স্বামীর বড় ভাই শাহ আলম জানান সব সময় আশঙ্কায় রয়েছেন কখন আরেকটি খারাপ খবর শুনতে হয়।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রেজাউল হক বলেন, ফাতেমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখন কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/ছবি: বাংলানিউজহাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. ইয়াসমিন খানম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রোগীকে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর আগেও আমরা আশুলিয়ার লাইটার কারখানার দগ্ধদের চিকিৎসা করেছি। তবে পরিবারের সদস্যরা ফাতেমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন।

শনিবার (০৭ জানুয়ারি) ভোরে সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুর মহল্লার তাজুল ইসলামের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভোরে রান্না করতে গিয়ে চুলায় আগুন দিতেই তা ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।