শনিবার (০৭ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে এক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা করেন।
অপরাধ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্রাইম অ্যান্ড জাস্টিস স্টাডিজ (বিআইসিজেএস) ‘মেনি কালারস অব ভায়োলেন্স: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক এ বার্ষিক কনফারেন্সের আয়োজন করে।
কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইসিজেএস’র চেয়ারপারসন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোকাররম হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের বেলদোস্তা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মিজানুর আর মিয়া ও সাউথ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান।
আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে নতুন নতুন যেসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে সেটিকে অপরাধতত্ত্ব হিসেবে ধরে নিয়ে এর বিজ্ঞানসম্মত গবেষাণা প্রয়োজন। আইন প্রয়োগ বা বিচারের পাশাপাশি অপরাধের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলো খুঁজে বের করে এর উপশম ঘটাতে হবে।
অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে মামলার সংখ্যা বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতে ২৭ লাখ মামলা জমে আছে। কিন্তু অপরাধ বসে থাকবে না। অপরাধ বাড়লে মামলার সংখ্যাও বাড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, পরিবার হচ্ছে শিক্ষার মূল কাঠামো। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানগুলো মূল্যবোধ তৈরি করতো। কিন্তু এখন পরিবার-সমাজের যোগসূত্রগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। একে সমুন্নত করতে হবে। নয় সহিংসতা, অপরাধ দমন বা প্রতিহত করা যাবে না, প্রতিরোধ করা যাবে না।
‘ছিনতাই’ অপরাধের ব্যাখ্যা করে আনিসুল হক বলেন, ১৯৬৬ সালের আগে ছিনতাই সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিলো না। ওইসময় মধ্যপ্রাচ্যের সিনাইতে একটি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যারা করেছে তারা একটি রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার জন্য এটা করেছিলেন। কিন্তু আজকে পথে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তাদের কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। তাই অন্যপথে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমি ভারতীয় একটা রায় পড়েছিলাম। যে রায়ে বলা হয়েছিলো, প্রিভেনশন (অপরাধের প্রতিরোধ) এর কথা।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরণও পাল্টায় এমন মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমে কম্পিউটার এলো, পরে মেইল, ভাইবারসহ নানা প্রযুক্তি আসছে। কিন্তু দেখা গেলো, এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার নেই। এটা একটা সাইবার অপরাধ। এটা অপরাধের নতুন মাত্রা। গবেষণায় এসব অপরাধ প্রতিরোধে বিকল্প চিন্তা বেরিয়ে আসবে। যদি এসব বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে হয়, তাহলে আইন মন্ত্রণালয় তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
ইএস/এনটি/এসএনএস