শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোক্তার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শরিফুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ৬৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে নওপাড়া নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলছে।
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মেসার্স তামান্না ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজের টেন্ডার নিলেও গাংনীর মোনায়েম হোসেন কাজটি করছেন।
মোনায়েম বাংলানিউজকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তামান্না ট্রেডার্সের কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক পাওয়ার অব এটর্নি করে কাজ নিয়েছে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, নির্মাণ শুরু থেকে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে আসছেন। নিম্নমানের কাজের বিরোধীতা করায় মোনায়েম বিভিন্নভাবে মামলা দেওয়ার হুমকি দিতেন স্থানীয়দের।
তবে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সাব অ্যাসিসস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন।
নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার শেলী বাংলানিউজকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না করে আরও ছয় মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বাংলানিউজকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই ঢালাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেছে। আগে থেকে জানালে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে পারতেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ উজ জামান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিল দেওয়া হবে না। কাজের মান নিম্নমানের হলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরবি/এসএইচ