জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির প্রভাবে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনজীবন ও সম্পদের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, পল্লী জনগণের জীবন মানোন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে সরকার ও ডানিডার অর্থায়নে মোট ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০৩ কোটি টাকা দেবে ডানিডা। দেশের ১৯ উপকূলীয় জেলার ২৪৩ ইউনিয়নকে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা প্রবণতা ও দারিদ্র্য বিবেচনা করেই এসব জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকার জলবায়ু পরিবর্তন ও ঝুঁকি মোকাবিলায় নতুন একটি উন্নয়ন ‘জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো’ প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার।
এলজিইডি‘র প্রতিনিধি বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে স্থানীয় কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে বটম আপ অ্যাপ্রোচে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্কিমসমূহ নির্বাচন করা হবে। তবে, জেলা ও উপজেলাওয়ারী সম্ভাব্য ব্যয় ও বিবরণী ডিপিপি’তে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) দেওয়া হয়েছে। ডানিডা’র সুপারিশে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯টি উপজেলার প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামতের আলোকে ও বুয়েটের রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৪টি উপজেলা নির্ধারণ করা হয়।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও গোপালগঞ্জের ২৪টি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা নির্বাচন করা হবে প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী মাটির বাঁধও দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ দেওয়াসহ বিটুমিনের সড়ক নির্মাণ করা হবে। কোথাও কোথাও প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের আওতায় ৪৭ কিলোমিটার ইটের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। কোথাও কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম সড়কে পাঁচ কিলোমিটার পিচ ঢালাইয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। প্রয়োজনীয় সেতু ও কালভার্টও নির্মাণ করা হবে।
ডানিডা’র অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের ওপর সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ) এ এন সামসুদ্দিন আজাদের সভাপতিত্বে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ২১০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক বাঁধ ও মাটি দিয়ে উন্নয়নের কথা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
তবে, এ প্রসঙ্গে এলজিইডি'র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী বাংলানিউজকে বলেন, ১ হাজার ২১০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক বাঁধ ও মাটি দিয়ে উন্নয়নই প্রকল্পের মূল কাজ। উপকূলীয় এলাকার সড়কের অবস্থা বিবেচনায় মাটি ও বাঁধ উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয় বিধায় মাটির কাজের প্রয়োজন আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমআইএস/পিসি