রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেট মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন নোয়া বাহিনী প্রধান বাকি বিল্লাহ ওরফে নোয়াসহ ১২ দস্যু।
এসময় তারা দেশি-বিদেশি ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক হাজার ১০৫ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেন। শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের পর বাগেরহাটের মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন-বাগেরহাট জেলার নোয়া মিয়া (৩৭), মো. মনিরুল শেখ (৩৮), মো. মানজুর মোল্লা রাঙ্গা (৪২), মো. মুক্ত শেখ (৩৭), মো. তরিকুল শেখ (৬০), মো. আকবর শেখ (৪২), মো. কিবরিয়া মোড়ল (৪০), মো. জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), মো. ইউনুস শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মো. মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮), মো. মোশারেফ হোসেন (৩৭) ও মো. আল আমিন সিকদার (৫০)।
স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য এ পর্যন্ত নোয়া বাহিনীসহ সুন্দরবনের আট দস্যু বাহিনীর ৭৬ দস্যু র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন। ৭৬ দস্যুর মধ্যে অধিকাংশই এখন জামিনে মুক্ত।
** সুন্দরবনের দস্যু নোয়া বাহিনীর আত্মসমর্পণ
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসআই