এদের মধ্যে আব্দুল ছালাম মুন্সীকে ১৫ বছর ও সাইফুলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে চাঁদপুর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল কচুয়া খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাল আত্মসাৎ করার সময় ট্রাক চালক সাইফুল ইসলাম ও হেলপার মেহেদী হাসান আটক হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাল আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ছালাম ও ইউপি সদস্য সাইফুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা করেন দুদক। মামলা জিআর নং-৩২/১০।
পরে মামলাটি কচুয়া থানা থেকে চাঁদপুর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এ পাঠানো হয়। সেখান থেকে ২০১১ সালের ২০ নভেম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এ এলে বিচার কার্য শুরু হয়।
দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী পিপি মুরাদ হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দুই মাস আগে দণ্ডপ্রাপ্তরা আটক হন। ২০১১ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোরশেদ আলম ও চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসাইন আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি কচুয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছালাম ও ইউপি সদস্য সাইফুলের উপস্থিতিতে ছালামকে ১৫ বছর ও সাইফুলকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং দু’জনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারক।
এছাড়া অপর দুই আসামি গাড়ি চালক সাইফুল ইসলাম ও হেলপার মেহেদী হাসান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলেও জানান দুদক আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ০৮, ২০১৭
আরবি/আরএ