সোমবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটায় মার্কেটে আগুন লাগে। পুড়ে যায় গুলশান কাঁচা ও পাকা মার্কেটের ৬ শতাধিক দোকান।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা কর্নেল মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার পরদিন থেকেই তদন্ত কমিটি ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) গুলশান মার্কেটের আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কর্নেল মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত কাজ চলছে। ষড়যন্ত্রের অভিযোগটি মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত করছি। সব কিছু মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। কোনো কিছুই বাদ দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মাকেটে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্তের জন্য আমরা মাঠে রয়েছি। আশা কারি, খুব শিগগিরই রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।
মার্কেটে আগুন লাগায় কোটিপতি ব্যবসায়ীরা রাতারাতি পথে বসে যান। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ব্যবসায়ীরা সুদমুক্ত ঋণ দাবি করেন সরকারের কাছে।
ব্যবসায়ী ইমদাদ আলম, শাহাদত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, সব কিছু হারিয়ে আবার ব্যবসা শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছি। ধোয়ামোছার কাজ চলছে।
পাকা মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি এস এম তালাল রিজভী এবং কাঁচা মার্কেটের চেয়ারম্যান শের মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায় সহযোগিতা করতে। আমরা আবার মার্কেট চালু করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএটি/পিসি