মামলার বরাত দিয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরী শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকার এক বাড়িতে গরুর খাবার আনতে যায়। এসময় আয়ুব তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন।
এরপর থেকে আয়ুব পলাতক ছিলেন। পরে ওই কিশোরী একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেয়। এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৬ সালে ২৮ নভেম্বর মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক কাদের নেওয়াজ এ মামলায় আয়ুব হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুর পিতার স্বীকৃতি ও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
এ রায়ের দীর্ঘ ১১ বছর পর পলাতক আয়ুবকে শ্রীপুর থানা পুলিশের সহায়তায় মাগুরা সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আয়ুবের গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিত মেয়েটির মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এসআই