বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা সফররত মায়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উ চ থিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শরণার্থী সমস্যা নিয়ে দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সমাধান করতে পারে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে না।
বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে সম্ভাব্য সব করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে মায়ানমার শিক্ষা নিতে পারে।
বৈঠককালে অং সান সুচিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় মায়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে অং সান সুচির একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং সহযোগিতাপূর্ণ করতে ইচ্ছুক মায়ানমার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মিয়ো মিইন্ট থান।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭ অপডেট ০১১৮ ঘণ্টা
এমইউএম/এনটি