বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারি।
আইনের একটি ধারার কথা তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য দ্বারা কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে সে ক্ষেত্রে সরকারের কাছে প্রতিবেদন চাইতে হবে। তার অর্থ দাঁড়ায় আমরা সরাসরি তদন্তে যেতে পারছি না। সেই জায়গা রিভিজিট করতে হবে।
বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বলেও জানান মানবাধিকার কমিশন চেয়যারম্যান।
শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কি রূপ অভিযোগ এসেছে জানতে চাইলে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন বছরে শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এ ঘটনা অহরহ এসেছে।
মানবাধিকার সম্পর্কে মানুষের ধারণা জানতে চাইলে বলা হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ২০০৯ সালের আইনে মানবাধিকার কমিশন পরিচালনা হচ্ছে। আইনটিকে রিভিজিট করা দরকার। প্রতিবেদন যেন যথাযথভাবে গ্রহণ করা হয় সে বিষয়টি আইনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রীর কাছে অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন করে জনবল বৃদ্ধি এবং নিজস্ব জমিতে ভবনের ব্যবস্থা করার দাবি তুলে ধরেন রিয়াজুল হক।
কমিশনে জনবল বৃদ্ধি ছাড়াও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জায়গায় তাৎক্ষণিক যাওয়ার জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট চাওয়া হয় অর্থমন্ত্রীর কাছে।
মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরের গোটা বিশ্বে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো ছিল না। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম না। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তার প্রতিফলন বাংলাদেশে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/পিসি