বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
এসময় লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সংলাপ করছেন এটা ভালো। এখন গণতন্ত্রের স্বার্থে হাসিনা-খালেদা যদি একবার বৈঠকে বসেন তাহলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে। ’
আগামী নির্বাচনকালীন সরকার দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি আগেও এরকম একটি সমঝোতা চেয়েছিলো। এখন দুই নেত্রীর দেখা করা খুবই জরুরি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচজনের পরিবর্তে তিনজনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলে ভালো। কারণ তিনজন নিয়ে গঠিত হলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করা সহজ হবে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে বলে প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি এই প্রক্রিয়ায় একটা ভালো কমিশন গঠন করেন তাহলে সমাধানটা খুব সুন্দর হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে যেন ইলেকট্রনিক ভোটিং না হয়। কারণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যদি দক্ষ লোকের হাতে না পড়ে তাহলে জনগণ একটি প্রতীকে ভোট দেবে আর গণনা হবে অন্য প্রতীক।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার রাষ্ট্রপতিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য যুগোপযোগী আইন করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
এসএ/আরআর/পিসি