বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা নিউ এইজের ফটো সাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টুর চার দিনব্যাপী ‘মহাজোট সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও জঙ্গি নির্মূলে জিরো টলারেন্স’ শীর্ষক একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন র্যাবের ডিজি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, হলি আর্টিজান পরবর্তী যে অপারেশনগুলো হয়েছে সেগুলো মূলত নব্য-জেএমবি কেন্দ্রীক। তাদের ক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টানা অপারেশনে এই গ্রুপটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
তবে, যারা বাইরে আছে তারা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের পাশাপাশি পুরনো জেএমবিসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে যেন তারা নতুন কোনো জঙ্গি কার্যক্রম ঘটাতে না পারে।
জঙ্গিবাদের অর্থদাতা প্রসঙ্গে র্যাবের ডিজি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক অর্থদাতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অনেক অর্থও উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থদাতা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশি-বিদেশি হোক প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পুরনো জেএমবির অনেকেই নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন জেএমবির মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব আছে। প্রথমে ২০১২ সালে বিভক্ত হয়, পরে তারা আবার ২০১৫ সালে বিভক্ত হয়। সব সংগঠনগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা হচ্ছে।
জঙ্গিবাদে কোনো রাজনৈতিক দল জড়িত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো হয় জঙ্গিবাদকে পলিটিক্যালি না দেখা। পলিটিক্যালি দেখবে পলিটিশিয়ানরা। আমরা যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে আছি তারা বিষয়টাকে আইনগতভাবেই দেখতে চাই’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, এ দেশের মাটি জঙ্গিবাদের জন্য উপযোগী নয়, এটা বিজাতীয় ধারণা। এ দেশের মাটিতে জঙ্গিবাদ টিকবে না।
প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ফটো সাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
পিএম/জিপি/পিসি