ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে দায়ের দুই মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে দায়ের দুই মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট

ঢাকা: বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা দু’টি মামলা বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

২০১৫ সালের ১৬ই মার্চ প্রকাশ্য আদালতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেছিল। সম্প্রতি এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে।

১৯৯৬ সালে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগে মামলা দু’টি করা হয়েছিল। মামলা দু’টি বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, দুই মামলার কোনোটিতে আসামি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন প্রাথমিক উপাদান পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কেবল অস্পষ্টই নয়, কোনোভাবে সংজ্ঞায়িতও করা হয়নি। ফৌজদারি বিচারে অভিযোগ অবশ্যই সুনির্দিষ্ট হতে হবে। কিন্তু উভয় অভিযোগ পড়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, অভিযোগ কেবল অস্পষ্টই নয়, বরং আইন সম্পর্কে ভুল ধারণা এবং বাস্তবিক ঘটনার ভুল ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

রায়ে বলা হয়, ১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্সের ১৭ ধারা লঙ্ঘিত হয়-এমন একটি অপরাধ, ঘটনার বিবরণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে কমিটি ব্যর্থ হয়েছে। নাম পরিচয় উল্লে¬খ ছাড়া ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার, প্রবণতা ও প্রভাব, গণমাধ্যমের জল্পনাভিত্তিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রিপোর্টটি করা হয়েছে।

রায়ের ব্যাপারে সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা তো এতদিন ধরে বলে আসছিলাম, মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি ছিল না। হাইকোর্টের রায়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।

দুই মামলায় বিবাদী ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর হোল্ডিংস,  বেক্সিমকো ফার্মার চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত ডি এইচ খান। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মামলা দু’টি দায়ের করেছিল।

পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর এই দুটি মামলা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে চলে যায়।

এর আগেই মামলা দুটি বাতিলে হাইকোর্টে আসেন মামলার বিবাদী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা। কেন মামলা দুটি বাতিল করা হবে না, মর্মে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থগিতাদেশও দেয়া হয়। ২০১৫ সালের মার্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলা দুটি বাতিল করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।