ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিলংয়ের অপূর্ব স্থাপত্য ক্যাথেড্রাল চার্চ

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
শিলংয়ের অপূর্ব স্থাপত্য ক্যাথেড্রাল চার্চ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শিলং, মেঘালয় ঘুরে এসে: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের এক অপূর্ব স্থাপত্য ‘ক্যাথেড্রাল অব মেরি হেল্প অব খ্রিস্টানস’ (Cathedral of Mary Help of Christians)। শহরের ধানক্ষেতের মধ্যে এই গির্জা অবস্থিত।

প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক গির্জার নির্মাণ কৌশল ও স্থাপত্য সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। যেকোনো ধর্মের মানুষই এখানে ঘুরে দেখতে পারেন।

যাজকদের প্রধানকে বলা হয় আর্চবিশপ। একজন আর্চবিশপের অধীনে যতটুকু এলাকা থাকে তাকে বলা হয় আর্ডিওচেস। শিলংয়ে রোমান ক্যাথলিক আর্চবিশপের আর্ডিওচেসের প্রধান ক্যাথেড্রাল এটি।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএই আর্ডিওচেসের আওতায় পড়ে মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড় এবং রিভোই জেলার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীরা। শিলংয়ের তিন লাখ ক্যাথলিকের জন্য এটিই প্রধান ধর্মীয় প্রার্থনা স্থান।

শিলং আর্চিওডেচেসের অধীনে রয়েছে ৩৩টি যাজকপল্লি। যেগুলোকে বলা হয় প্যারিস।

১৯১৩ সালে এই স্থানেই মেঘালয় ও তৎকালীন সময়ে আসাম মিশনের প্রথম গির্জা নির্মাণ করা হয়। একজন জার্মান ফাদার এই স্থানেই দ্য চার্চ অব দ্যা ডিভাইন সেভিয়্যর নামে একটি উপাসনা স্থান নির্মাণ করেন। এটি ছিল কাঠের স্থাপত্য।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম১৯৩৬ সালের ১০ এপ্রিল গুড ফ্রাইডের দিনে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ওই গির্জা। পরবর্তীতে রোমান ও রেনেসাঁ যুগের স্থাপত্য ধারার সমন্বয়ে গোথিক স্থাপত্য কৌশলে একই বছরের ২৫ অক্টোবর নতুন এই ক্যাথেড্রাল নির্মাণ করা হয়।

মেঘালয় ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। তাই প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে ক্যাথেড্রাল ক্যাথলিক চার্চের ভিত্তি করা হয়েছে পাথর ও বালি দিয়ে।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমশিলং শহরের প্রথম আর্চবিশপ হাবার্ট ডি-রোজারিও কবর এই ক্যাথেড্রেলের ভেতরেই অবস্থিত। গির্জার ভেতরের শিল্পকর্মগুলো বাইবেলের বিভিন্ন অধ্যায় ও ধর্মগুরুদের গল্প ফুটিয়ে তুলেছে।

পরিষ্কার দিনের আলোয় পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই গির্জা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ এবং বরফে আচ্ছাদিত হিমালয়ের চূড়া দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমএন/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।