শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ্যানিটার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ইউনিট-১ এর চিকিৎসক ডা. নাহিদ।
আত্মহননকারী এ্যানিটা বরিশাল নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের বাসিন্দা মাইকেলের মেয়ে এবং সরকারি বরিশাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে নগরের বটতলা আদমআলী হাজী গলির চারতলা বিশিষ্ট আরআর ম্যানশনের ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে তিনি আত্মহননের চেষ্টা করেন।
তাৎক্ষণিক তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
কলেজছাত্রীর বান্ধবী আরআর ম্যানেশনের ভাড়াটিয়া স্বপনের মেয়ে শ্রেয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুপুরে এ্যানিটা তার বাসার সামনে এসে কল দেয়। বাথরুমে থাকায় ফোন ধরতে না পারায় এ্যানিটা ঘরে না ঢুকে সরাসরি চতুর্থ তলায় ছাদে চলে যায়। ’
তিনি বলেন, ‘বাথরুম থেকে বের হয়ে ঘরে গিয়ে মোবাইলে এ্যানিটার একটি এসএমএস দেখে দেরি না করে দ্রুত দৌড়ে ছাদে চলে যাই। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই এ্যানিটা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। তবে তার মোবাইলটি ছাদেই পড়ে ছিলো। ’
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে অফিসারও পাঠানো হয়েছে। তবে এটি সত্যিই আত্মহত্যা, নাকি তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এমএস/এইচএ/