ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বুধবার বগুড়া হানাদারমুক্ত দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
বুধবার বগুড়া হানাদারমুক্ত দিবস বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’ / ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: বগুড়া হানাদার মুক্ত দিবস বুধবার। অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় পাক হায়েনাদের পরাস্ত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের ভোর থেকেই বগুড়া শহরকে শক্রমুক্ত করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন বীরসেনানীরা। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নওদাপাড়া, চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা এলাকায় নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ৬৪ মাউন্টেন্ট রেজিমেন্টের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিংহের নেতৃত্বে ট্যাংক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে এগোতে থাকেন। সেদিন এসব এলাকার অকুতোভয় অসংখ্য যুবক জীবন বাজি রেখে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

১৩ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

একপর্যায়ে সেদিন দুপুরে ফুলবাড়ী সংলগ্ন শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকায় পাক বাহিনীর প্রায় ৭০০ জন সৈন্য আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তাদের বন্দি করে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ে মিত্র বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়।

২০০৫ সালে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের স্মরণে ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’ নামে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমবিএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।