আগামী ১৫ জানুয়ারি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে কথা-বার্তা হবে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে জানান।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৫ জানুয়ারি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর কার্যক্রম ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল, যদিও সেটি দেরি হচ্ছে। দেরি হলে এক সপ্তাহ হতে পারে এর বেশি কাম্য নয়। আসছে নতুন বছরে এই বছরের মতোই মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত, চীন ও রাশিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিন দেশকে সেভাবে পাইনি। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একক প্রচেষ্টায় চুক্তি করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বোঝা যায় যে, আমরা অন্য কারো মুখাপেক্ষী নই। তারপরও গুরুত্বপূর্ণ যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মিয়ানমারে গণতন্ত্র নিয়ে সোচ্চার ছিল, তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেছে। তাদের ভূমিকাই এখানে বড়।
নিরাপদ এবং নিজস্ব ইচ্ছায় রোহিঙ্গা পাঠানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের নিরাপদে পাঠানোর জন্যই চুক্তি করেছি। এই প্রশ্ন করার কোনো অবকাশ নেই। রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে এটি শুরু হবে, ধীরে ধীরে শুরু হোক। বিলম্বিত হবে এর অর্থ এই নয়, যে তারা আর যেতে পারবে না।
এখন যারা বাংলাদেশে ঢুকছে, তারা খাদ্য ও চিকিৎসার জন্যই আসছে বলেও মত দেন তিনি। যুক্ত করেন, তাদেরও ফেরানোর কথা।
রোহিঙ্গা নিবন্ধন নিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। গতকাল পর্যন্ত নয় লাখের বেশি নিবন্ধন হয়ে গেছে। সবাইকে পাঠানো যাবে কিনা সেটা পরে ভাবা যাবে। কিন্তু আগে কাজ শুরু করতে হবে। এছাড়া ১৯ হাজার এতিম রোহিঙ্গা শিশুর বিষয়েও ভাবা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
কেজেড/আইএ