ওই নারী নিজেই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে ৫ নম্বর আমলি আদালতের পেশকার বদরুল আলমও বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘গত ১১ আগস্ট দুপুরে উপজেলার ধুরাইল বাজারে সিরাজুল ইসলামের দোকানের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় সেদিন রাতে তাকে ওসির কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। ’
‘এ সময় হালুয়াঘাট থানার ওসি কামরুল ইসলাম ও স্থানীয় ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমন তাকে বিবস্ত্র করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। একই কায়দায় পরের দিনও তাকে নির্যাতন করা হয়। ’
‘পরে ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ তার বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট ও ফুলপুর থানায় চারটি গরু চুরির মামলা দায়ের করে। প্রায় চার মাস কারাভোগ শেষে গত ৪ ডিসেম্বর জামিনে বের হন ওই নারী। ’
মুক্তি পেয়েই ২১ ডিসেম্বর নির্যাতনের অভিযোগ এনে ওই নারী ওসি, ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক হাফিজ আল আসাদ অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ওসি কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, ‘ওই নারীর নেতৃত্বাধীন গ্রুপ হালুয়াঘাট ও ফুলপুরে ছয়টি গরু চুরি করেছে। তার বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানায় ৩টি ও ফুলপুর থানায় একটি গরু চুরি মামলা রয়েছে। ’
‘থানায় তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের কোনো প্রশ্নই উঠে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তিনি এ অভিযোগ করেছেন’, দাবি ওসি কামরুল ইসলামের।
আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ছুটিতে রয়েছি। আদালতের নির্দেশনার কথা শুনেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এমএএএম/জিপি