ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাম পাল্টেও পার পেল না ৯ চতুর ছিনতাইকারী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
নাম পাল্টেও পার পেল না ৯ চতুর ছিনতাইকারী বৃহস্পতিবার ভোরে আটক ছিনতাইকারীদের পুরো একটি দল। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: এক যুবকের ছয়টি বাহারি নাম। একেক এলাকায় একেক নামে পরিচিত। কোথাও ছাহিল, কোথাও সানি, কোথাও শাকিব, কোথাওবা শাকিল। কখনো জয় আবার কখনো বিজয়। তবে তার আসল নামটি খালেকুজ্জাম্মান (২০)। কক্সবাজার পৌরসভার পেশকার পাড়ার আবদুল করিমের ছেলে।

নাম তার যা-ই হোক, পর্যটন শহরের আনাচে কানাচে লোকজন তাকে চেনে দুর্ধর্ষে এক ছিনতাইকারী হিসেবে। তাকে যমের মতো ভয়ও পায়।

কিন্তু খালেক নামের স্বভাব-চতুর এই ছিনতাইকারী সব সময় নিজের পরিচয়কে আড়াল করে চলতেই পছন্দ করতো। নানা নামের ভেক ধরে সে দিব্যি নিজেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিরাপদে আড়াল করে রেখেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। বৃহস্পতিবার ভোরে অত্যাধুনিক দু’ধারী ছুরি আর অন্য ছিনতাইকারীসহ ধরা পড়ে যায় পুলিশের পাতা জালে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ছিনতাইকারীরা আইনের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য নানা সময় নানা কৌশল অবলম্বন করে। কখনো কখনো পারও পেয়ে যায়। তবে কোনো অপরাধীই শেষ পর্যন্ত আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারে না। এদের বেলায়ও ঠিক তা-ই হলো।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাত্রে ৬ টি ছোরা, ৫টি মুখোশ ও ৭ টি লোহার রড সহ শহরের কলাতলীর চন্দ্রিমা মাঠ থেকে নয় ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তালিকা, সোর্স ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে তাদের প্রত্যেকের একাধিক নাম পাওয়া গেছে।

ধৃত অন্যরা হলো
শহরের মধ্যম বাহারছড়ার মৃত মোঃ হানিফের ছেলে নিহাত @নেহাত (২০), লাইটহাউজ পাড়ার শুক্কুর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল(২২) প্রকাশ বাঘা, বাহারছড়া এলাকার কেরামত আলীর ছেলে মহিউদ্দিন @বাপ্পা (২০), পেকুয়া উপজেলার উলিদিয়ার সবুজবাজার এলাকার আবুল কাশেম @কসাই কাশেমের ছেলে আকাশ (২০), বাদশা ঘোনার এলাকার নুর আলীর ছেলে আলী আকবর(২০), সৈকত পোস্ট অফিস এলাকার আবদুছ সবুরের ছেলে মিশাল @আবিদ (২০), ঝাউতলা গাড়ির মাঠ এলাকার মৃত সেলিমের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন @ হৃদয়(২০) এবং মৃত জামালের ছেলে শফিউল ইসলাম @ শফি(১৯)।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) মাঈন উদ্দিন বলেন, এরা সকলেই পেশাদার ছিনতাইকারী। এদের রয়েছে একাধিক নাম ও পরিচয়। এদের প্রকৃত নাম ও ঠিকানা যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে।  

কক্সবাজার সদর থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া আরো জানান, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর —এই তিনদিনে মোট ৩০ জন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃত ৯ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া নতুন একটি মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, পর্যটন শহরকে ছিনতাইকারী মুক্ত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানা পুলিশকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়:১৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
টিটি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।